বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাত সক্কালেই দূষ্কৃতীদের চূড়ান্ত তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল সাঁতরাগাছি। পিস্তল-ভোজালি বার করে দেওয়া হল খুনের হুমকিও। রক্ষা পেলেন না মহিলারাও। এহেন হুমকির সঙ্গেই চলল অকথ্য অশ্রাব্য গালিগালাজ। এহেন ঘটনার জেরে সকাল সকাল ভালোরকম উত্তেজনা ছড়িয়েছে সাঁতরাগাছি এলাকায়।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার, সাঁতরাগাছির দু নম্বর সুলতানপুর নস্কর পাড়া এলাকায়। অভিযোগ, সকাল নটা নাগাদ এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে প্রস্রাব করছিল দুজন যুবক। ব্যাপারটি দেখতে পেয়ে বারণ করেন ওই বাড়ির কর্ত্রী। আর সেই বারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই লুঙ্গির মধ্যে থেকে পিস্তল এবং ছুরি বার করে তারা। বাড়ির সবাইকে খুন করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। একজন পিস্তল নিয়ে এবং অন্যজন ছুরি ঠেকিয়ে ভয় দেখাতে থাকে। মহিলাদেরও অশ্রাব্য ভাষায় চলে গালিগালাজ।
জানা যাচ্ছে, ছুরি নিয়ে বাড়ির মহিলাদের উপর চড়াও হয় এক যুবক। তাঁদেরকে খুনের চেষ্টাও করা হয়। ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন ওই পরিবারের দুজন মহিলা। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সাঁতরাগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক। পুলিশের বহুক্ষনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই অভিযুক্তকেই আটক করেছে পুলিশ।
রাজ্যে সন্ত্রাস রুখতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী। বগটুই কান্ডের পর পুলিশকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন বেআইনি অস্ত্র এবং বোমার খোঁজে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাতে। কিন্তু।সাত সকালে কলকাতারই উপকন্ঠে এহেন তাণ্ডবের ঘটনা আরও একবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল রাজ্যবাসীর নিরাপত্তাকে। কোথা থেকে ওই যুবকদের কাছে এলো পিস্তল? কী তাদের পরিচয়? সেসব প্রশ্নের জবাব অবশ্য বিশ বাঁও জলে।