বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যে খানিকটা শান্তি ফিরেছে জম্মু-কাশ্মীরে, কিন্তু সে শান্তি বিঘ্নিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। কয়েক দিন আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রেফতার করেছিল খালিল আহমেদ এবং নাজ়িম খোকর নামে দুই পাক জঙ্গিকে। গ্রেফতারের পর ওদেরকে জেরা করে নিরাপত্তারক্ষীরা, যার ফলে উঠে আসে বেশ কিছু ভয়ানক তথ্য।
সম্প্রতি জানা গেছে কাশ্মীরে বড়সড় হামলা ঘটানোর জন্য কষা হচ্ছে ছক। শুধু তাই নয় এই সমস্ত জঙ্গিদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কই তইবার ঘাঁটিতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সদ্য আটক হওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দেশের সেনাদের সাহায্যেই তারা ভারতে অনুপ্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সমস্ত পাক জঙ্গিরা কাশ্মীর-সহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি ও অশান্তি পাকাতেই অনুপ্রবেশ করছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের অগ্নিদগ্ধ অবস্থা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সবই আবার আগের মতন সাধারণ অবস্থায় ফিরছে। এমনকি সরকারি কাজকর্মও চলছে স্বাভাবিক ভাবে।
তবে এ শান্তি যেন সহ্য হচ্ছে না পাকিস্তানের, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসা ছড়ানো কাজকর্মে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি জানিয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘেরাটোপে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নয়া দিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান উস্কানিমূলক মন্তব্য দ্বারা ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তিনি বলেন, “পরমাণু ব্যবহারে ‘প্রথম পদক্ষেপ নীতিতে’ বিশ্বাসী আমরা।” শুধু তাই নয় ইমরান আরও জানিয়েছেন ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বাধলে এর ফল ভুগতে হবে গোটা বিশ্বকেই।
উল্লেখ্য, বিদেশ তো দূরের কথা নিজের দেশেও কোণঠাসা ইমরান খান। আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সেভাবে কোন দাগ কাটতে না পারায় বারবার বিরোধীদের কটাক্ষ তীর বিঁধেছে ইমরানের গায়ে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দল মুত্তাহিদা কওয়ামি মুভমেন্টের প্রধান আলতাফ হুসেন বলেন, কাশ্মীর ইস্যু ভারতের একেবারেই অভ্যন্তরীণ মামলা। পাক সেনার সেদেশে কাশ্মীর নিয়ে কোনো বিভ্রান্তিমূলক কাজকর্ম বা মন্তব্য একেবারেই আবশ্যিক নয়।