বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রায় ১১ দিন হতে চলল। এখনও জট খুললো না আর জি কর কাণ্ডের। গত শুক্রবার আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালে কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় (Doctor Rape and Murder Case) উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ অনেককেই। তবে গন্ডগোল হচ্ছে অন্য জায়গায়।
নিখোঁজ আর জি করের PGT যুগল (RG Kar)
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের (RG Kar Doctor Death) দশদিনের বেশি পার হয়ে গেলেও ‘সন্দেহভাজন’ দুই পিজিটি এখনও ডুমুরের ফুল। কোথাও দেখা নেই তাদের। কোনও খোঁজ নেই। একজন মহিলা চিকিৎসক ও আরেকজন পুরুষ। নিখোঁজ হওয়া মহিলা ছিলেন চেস্ট মেডিসিনের ও তার ওই পুরুষ বন্ধু অর্থোপেডিকের পিজিটি।
এই দুজনাই ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের। ঘটনাচক্রে খুন হওয়া চিকিৎসকও ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি। এখানেই মিলছে না অংক। ‘তিলোত্তমা’কে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে এদের নিখোঁজ হওয়ার কোনও যোগ নেই তো? কেন সেই রাতের পর থেকেই অদৃশ্য হয়ে গেলেন এই দুজন? উঠছে প্রশ্ন।
চিকিৎসক মৃত্যুর পর গোটা দেশ যখন আন্দোলনে সেখানে সহকর্মীর এহেন পরিণতির পর ওই দুই চিকিৎসক কেন কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করছেন না? প্রশ্ন উঠলেও উত্তর নেই কর্মবিরতিতে শামিল হওয়া চিকিৎসকদের বড় অংশের কাছে। দুই নিখোঁজ চিকিৎসকের খোঁজ দিতে পারেনি স্বাস্থ্যভবনও।
আর জি কর সূত্রে জানা যাচ্ছে, নারকীয় খুনের ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে নিহত তরুণীর সঙ্গে কোনো বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কথাও বন্ধ ছিল তাদের মধ্যে। তবে পরে অবশ্য সেই বিষয় মিটে যায়। তবে এরই মাঝে দুই চিকিৎসকের হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা কিছুটা অদ্ভুত না!
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৯ আগস্ট ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর থেকে কলেজের ত্রিসীমানার মধ্যে আর দেখা যায়নি ওই দুই চিকিৎসককে। যা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। ওদিকে মেয়ের মৃত্যুর পরই তিলোত্তমার মা জানিয়েছিলেন কিছুদিন যাবৎ কলেজ যাওয়ায় অনীহা তৈরী হয়েছিল মেয়ের মধ্যে। কিছুদিন আগে কলেজ চত্বরে বাইকে ধাক্কায় গুরুতর আহত হওয়ার পরেও প্রকাশ্যে কোনও অভিযোগ জানাতে চাননি তিলোত্তমা। কেবল বাড়িতে জানিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘এই সপ্তাহেই..,’ সন্দীপকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! আরজি কর মামলায় নয়া মোড় হাইকোর্টে!
এখানেই জমছে রহস্য। কী চলছিল তিলোত্তমার সাথে? সবটাই কী কোইন্সিডেন্স? এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ নেই তো? উঠছে প্রশ্ন। গোটা বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা ডা.কৌস্তভ নায়েক জানান, “কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই তদন্ত করছে। কিন্তু খবর পেয়েছি সেদিনের ঘটনার পর দুই পিজিটিকে আর কলেজে দেখা যায়নি।” তদন্তের গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্যভবন।