বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে ঘটলো অপেক্ষার অবসান! বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপ ২০২৩-এর (ODI World Cup 2023) সময়সূচী প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। ৪৬ দিন ব্যাপী এই টুর্নামেন্ট আরম্ভ হবে ৫ই অক্টোবর নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে শেষ সংস্করণের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি দিয়ে আরম্ভ হবে টুর্নামেন্টটি।
৮ ই অক্টোবর চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়া বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান আরম্ভ করবে ভারতীয় দল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হারের বদলা নিতে মুখিয়ে থাকবেন কোহলিরা। ১৫ ই অক্টোবর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। ১১ই নভেম্বর ব্যাঙ্গালোরে কোন এক যোগ্যতা অর্জনকারী দলের বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ গ্রুপ পর্বের ম্যাচ খেলবে ভারত। কিন্তু ভারতের ম্যাচগুলির ভেন্যু নির্বাচন করতে গিয়ে বিসিসিআই দুটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার ফলে ভারতীয় দলের ওপর চাপ বাড়বে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর।
সমর্থকদের সুবিধার জন্য বিষয়টি সকলের সামনে ভারতের সূচি তুলে ধরা হলো:
● ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া, ৮ই অক্টোবর, চেন্নাই
● ভারত বনাম আফগানিস্তান, ১১ই অক্টোবর, দিল্লি
● ভারত বনাম পাক, ১৫ই অক্টোবর, আহমেদাবাদ
● ভারত বনাম বাংলাদেশ, ১৯শে অক্টোবর, পুনে
● ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড, ২২শে অক্টোবর, ধর্মশালা
● ভারত বনাম ইংল্যান্ড, ২৯শে অক্টোবর, লখনউ
● ভারত বনাম কোয়ালিফায়ার টিম, ২রা নভেম্বর, মুম্বাই
● ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ৫ই নভেম্বর, কলকাতা
● ভারত বনাম কোয়ালিফায়ার টিম, ১১ই নভেম্বর, বেঙ্গালুরু
আইসিসি এবং বিসিসিআই একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করে এই ভেন্যুগুলি নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু তার ফলে ভারত দুটি ম্যাচে অত্যন্ত কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি করবে এবং সম্ভবত ওই ম্যাচগুলো অহিত শর্মাদের পক্ষে জেতা সম্ভব হবে না
প্রথমত অভিজ্ঞ অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচটি চেন্নাই আয়োজিত করে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মেরেছে বিসিসিআই। অস্ট্রেলিয়া ওডিআই সিরিজে ভারতের মাটি থেকে জিতে ফিরেছিল এবং সেখানে তৃতীয় ম্যাচে চেন্নাইয়ের দাপট দেখিয়ে তারা উড়িয়ে দিয়েছিল ভারতকে। বাকি “SENA” দেশগুলোর মতো অস্ট্রেলিয়ার স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা নেই। তার পাশাপাশি তাদের হাতে রয়েছে অ্যাডাম জাম্পা, অ্যাস্টন অ্যাগারের মতো দুর্দান্ত কিছু স্পিনার যারা চেন্নাইয়ের পিন বান্ধব পিছের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভারতকে বেকায়দায় ফেলতে পারে।
এই বিপর্যয় যদি ভারত কাটিয়ে ওঠে তাহলেও তাদের বিপাকে পড়তে হবে ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে। ওই স্টেডিয়ামের পরিবেশ এবং পিচ বরাবরই ফাস্ট বোলারদের, বিশেষ করে যাদের হাতে ভালো সুইং রয়েছে তাদের বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই ওই ম্যাচে সাউদি ও বোল্টের জুটি ভারতের টপ অর্ডারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। ওই ম্যাচ দুটি ভারত যদি হেরে যায় তাহলে কোন সন্দেহ নেই যে তাদের সেমিফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে বেশ ঘাম ঝড়াতে হবে। সাম্প্রতিককালে বড় টুর্নামেন্টগুলিতে ভারতের পারফরম্যান্স দেখার পর ভক্তরা এই দুটি ম্যাচ নিয়ে অত্যন্ত বেশি আশঙ্কায় থাকবেন।