বাড়িতে ব্যবহৃত হয় ২ টো তার, কিন্তু ট্রেন চলে একটিতে, পুরো পদ্ধতি জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন ঘটেছে প্রতিটি ক্ষেত্রেই। গণপরিবহণের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। যত দিন এগোচ্ছে ততই আধুনিকীকরণ ঘটছে পরিবহণের মাধ্যমগুলিতে। এমতাবস্থায়, ট্রেনের প্রযুক্তিতেও এসেছে বিপুল পরিবর্তন। এখন ভারতীয় রেলের (Indian Railways) বেশিরভাগ ট্রেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের সাহায্যে চলছে।পাশাপাশি, ট্রেনের গতিও আগের তুলনায় অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, বর্তমানে ভারতে ইলেকট্রিক এবং ডিজেল ইঞ্জিন উভয়েই চলে। ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ প্রবর্তনের পর, বর্তমানে ডিজেল এবং ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ২ টো-ই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ট্রেনের ইলেকট্রিক ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে তা কি জানেন? পাশাপাশি, কখনও ভেবে দেখেছেন যে, কিভাবে একটি ট্রেন কেবলমাত্র একটি তারের ওপর ভর করে চলে? বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।

   

2 wires are used at home, but how does the train run on one

কিভাবে ট্রেন কেবলমাত্র একটি তারের ওপর ভর করে চলে: মূলত, ডিজেল লোকোমোটিভে ইঞ্জিনের ভেতরে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। অপরদিকে, ইলেকট্রিক ইঞ্জিন ওভারহেড তার থেকে বিদ্যুৎ পেয়ে যায়। ট্রেনের ওপরে থাকা প্যান্টোগ্রাফটি ওপরে ইনস্টল করা বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে ক্রমাগত ইঞ্জিনে বিদ্যুৎ স্থানান্তরিত করে। তবে এখান থেকে সরাসরি মোটর পর্যন্ত বিদ্যুৎ পৌঁছয় না। প্রথমে সেটি ট্রেনে থাকা ট্রান্সফরমারে যায়। ট্রান্সফরমারের কাজ হল ভোল্টেজ বাড়ানো বা কমানো। ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণের কাজটি একটি নচের সাহায্যে ইঞ্জিনে বসে থাকা লোকো পাইলট দ্বারা করা হয়।

আরও পড়ুন: ফের কড়া অ্যাকশন RBI-এর! এবার শাস্তির মুখে পড়ল SBI সহ আরও ২ ব্যাঙ্ক, আপনার অ্যাকাউন্ট নেই তো?

এই প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে: সার্কিট ব্রেকার থেকে আউটপুট কারেন্ট ট্রেনের ট্রান্সফরমার এবং সেমিকন্ডাক্টরে ডিস্ট্রিবিউট করা হয়। এর মাধ্যমে, অল্টারনেটিং কারেন্ট প্রথমে একটি ট্রান্সফরমারে পাঠানো হয়। যা চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ স্থাপন করে। এরপরে অল্টারনেটিং কারেন্টকে রেকটিফায়ারে ট্রান্সফার করা হয়। যেখান থেকে এটি ডাইরেক্ট কারেন্টে রূপান্তরিত হয়। এছাড়াও, ডিসি অক্সিলিয়ারি ইনভার্টারের সাহায্যে 3 ফেজ এসি-তে রূপান্তর করা হয়। এই কারেন্ট চাকার সাথে সংযুক্ত ট্র্যাকশন মোটরকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। এমতাবস্থায়, মোটর ঘুরতে শুরু করার সাথে সাথে চাকাগুলিও চলতে শুরু করে।

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে আকালের মধ্যে করুণ সিদ্ধান্ত! ট্যাঙ্ক ছেড়ে এবার ট্রাক্টর চালাবে পাকিস্তানি সেনা

না থেমেই চলতে থাকে ট্রেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় রেলের ইঞ্জিনে দু’ধরণের প্যান্টোগ্রাফ (বিদ্যুৎ গ্রহণকারী ডিভাইস) ইনস্টল করা থাকে। সাধারণত, চলমান ট্রেনের ইঞ্জিনগুলিতে উচ্চ গতির প্যান্টোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে, ডবল ডেকার যাত্রীবাহী ট্রেন এবং পণ্যবাহী ট্রেনগুলিতে চলমান ইঞ্জিনগুলিতে হাই রিচ (WBL) প্যান্টোগ্রাফ ব্যবহার করা হয়। প্যান্টোগ্রাফের বিশেষ বিষয় হল যে, সেতু কিংবা কালভার্টের কাছে ওভার হেড ওয়্যার (OHE)-এর উচ্চতা কম থাকা সত্বেও, ট্রেন কোনো বাধা (স্পার্ক) ছাড়াই চলতে থাকে এবং তারের ওপর এটির কোনো প্রভাব পড়েনা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর