বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ধাক্কা জোড়াফুল শিবিরে। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) শাসক দলে বড়সড় ভাঙন। সেই জেলার সামশেরগঞ্জের নিমতিতায় বিজেপিতে যোগ দিলেন ২০০ জনেরও বেশি তৃণমূল কর্মী (TMC)।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দলে বড়সড় ধাক্কা। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন সামসেরগঞ্জের নিমতিতা অঞ্চলের তৃণমূলের সদস্য নিতাই দাস। বুধবার সন্ধ্যায় নিমতিতার দুর্গাপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁরই সঙ্গে তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন আরো দুই শতাধিক কর্মী। এই খবর জানানো হয়েছে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে।
তৃণমূল ছেড়ে আসা তৃণমূল কর্মীদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলার সম্পাদক প্রবীর সাহা। এছাড়া এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য আস্তিক সিংহ, মন্ডল সভাপতি ষষ্ঠী চরণ দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে সামসেরগঞ্জের মতো জায়গায় তৃণমূল ত্যাগ করে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিজেপিতে যোগদান ঘিরে রীতিমতো বিপাকে শাসক দল তৃণমূল।
তবে এই প্রথম নয়। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্যসহ বিজেপিতে যোগ দেন ২০০ জন কর্মী। রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের তারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দেন। এই উপলক্ষে এদিন রানাঘাটের একটি বাজারে কর্মী সভার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের হাত ধরে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান বিপুল মণ্ডল-সহ ২০০ জন কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই এদিন তৃণমূলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিপুল মণ্ডল। তিনি বলেছিলেন, ‘তৃণমূলে মানুষের জন্য কাজ করতে দেওয়া হয় না। উঁচু স্তরের নেতারা শুধু বাধা দেন।’ ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসেই পদত্যাগ করেন বিপুর মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘আমাকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছিল।’ এছাড়াও, তৃণমূলে একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ তোলেন বিপুল মণ্ডল। সেই সঙ্গে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং স্বজন পোষণের অভিযোগেও তিনি সরব হয়েছিলেন তিনি।