বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নানাবতী কমিশন (Nanavati Commission) গুজরাটে ২০০২ এর দাঙ্গায় (Gujarat 2002 riots) তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্লিনচিট দিলো। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় ১০০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছি।, আর তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ সংখ্যালঘু। গুজরাটের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদীপ সিং জাদেজা বিধানসভায় কমিশনের রিপোর্ট পেশ করেন। এই রিপোর্ট তৎকালীন সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার পাঁচ বছর পর বিধানসভায় পেশ করা হয়। কমিশন ১ হাজার ৫০০ এর বেশি পাতার এই রিপোর্টে বলে, ‘রাজ্যের মন্ত্রীরা ওই দাঙ্গায় উসকানি দিয়েছে এমন কোন রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।”
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিছু জায়গায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ ব্যর্থ ছিল, কারণ তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ কর্মী ছিলনা, আর তাঁদের কাছে ঠিক মতো হাতিয়ারও ছিলনা। কমিশন আহমেদাবাদ শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কিছু ঘটনা নিয়ে বলে, ‘পুলিশ দাঙ্গা নিবারণের জন্য সামর্থ্য আর তৎপরতা দেখায়নি, যেটা সেই সময় খুবই আবশ্যক ছিল।” নানাবতী কমিশন দোষী পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত আর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক জিটি নানাবতী আর গুজরাট হাইকোর্টের প্রাক্তন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক অক্ষয় মেহতা ২০০২ দাঙ্গা নিয়ে নিজেদের এই রিপোর্ট ২০১ সালে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন পাতিলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
২০০২ সালে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাঙ্গার তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করেছিলেন। এই দাঙ্গা গোধরা রেল স্টেশনে সবরমতি এক্সপ্রেসের দুটি ট্রেনের বগিতে আগুন লাগানোর ঘটনার পর ঘটেছিল। সবরমতি এক্সপ্রেসের দুটি কামরায় আগুন ধরিয়ে ৫৯ জন কর সেবককে জীবন্ত জ্বালিয়ে মারা হয়েছিল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদী অথবা কোন নেতার গোধরাকাণ্ডে কোন ভূমিকা নেই। এটাও বলা হয়েছে যে, সরকার সেই সময় কোন বন্ধের ঘোষণা করেছিল না। নানাবতি আয়োগের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, গোধরাকাণ্ডে কোন আধিকারিক অথবা পুলিশের কোন যোগ ছিলনা।