বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত কয়েক বছর ধরে থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগে কাঠগড়ায় রাজ্যের শিক্ষা দফতর। ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগে কারচুপির (Primary Recruitment Scam) অভিযোগে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। নিয়োগ প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে বঞ্চনা করার মত অভিযোগ উঠেছিল প্রাথমিক বোর্ডের বিরুদ্ধে। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই গোটা ঘটনা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajeet Basu)।
কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ – Calcutta High Court
অভিযোগ ছিল, বোর্ডের নম্বর কারচুপির জেরে চূড়ান্ত মেধাতালিকা থেকে অনেক যোগ্য প্রার্থীরাই বাদ পড়েন। মোট নম্বরের যোগফলে ভুল দেখানোর মত মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, টেট, ইন্টারভিউ, সব মিলিয়ে মোট নম্বরে কম দেখানো হয়। যার জেরে অনেকেই ছিটকে যান মেধাতালিকা থেকে।
বোর্ডের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত এই মামলায় বোর্ডের ‘কাণ্ডে’ থ হয়ে যান জাস্টিস বসু। মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী তরুণ জ্যোতি তিওয়ারি আদালতে জানান, ”মামলাকারী সুস্মিতা মণ্ডল পরীক্ষার সব বিভাগ মিলিয়ে সর্বমোট ৩০.৫১১ নম্বর পেয়েছেন। এদিকে স্কোর শিটে সেই নম্বর বদলে দেওয়া হয়েছে। স্কোর শিটে নম্বর দেখানো হয়েছে ২৮.৫১১।’
আরও পড়ুন: মিলল মেটা ডেটা? SSC ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি! সুপ্রিম কোর্ট তরফে কি আপডেট মিলছে
আইনজীবী আরও বলেন, বোর্ডের সচিবের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দিয়ে আদালতকে বিপথে চালিত করার অভিযোগ আমরা আগামী শুনানিতে আনব। এদিকে প্রাথমিক বোর্ডের আইনজীবী ওই মামলাকারীর সব নম্বর যোগফল করে সর্বমোট ২৮.৬৫ বলে জানান। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্ট তরফে।