বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ২১ ডিসেম্বর। শুভেন্দুর ডিসেম্বর ডেডলাইনের (December Deadline) তৃতীয় দিন (Last Day)। কী ঘটতে চলেছে রাজ্যে? ক্রমশ্যই চড়ছিল জল্পনার পারদ। সত্যিই কী বিরোধী দলনেতার কথা মত কোনো দিক থেকে ধাক্কা খাবে রাজ্য সরকার, নাকি এবারও মাটি হবে শুভেন্দুর ভবিষ্যৎবাণী। চারিদিকে যখন কী হয় কী হয় রব, ঠিক তখনই দিল্লি থেকে ফিরে বিরোধী দলনেতা জানালেন ২১ ডিসেম্বর বড় কিছু হওয়ার বিষয় নেই।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ডেডলাইনের প্রথম দুদিন অর্থাৎ, ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর দলনেতার কথা মত তাৎপর্যপূর্ণ কিছুই ঘটেনি রাজ্যে। তবে এই দুদিনই উল্টো বুমেরাং হয়ে এসে ভারী পড়েছে খোদ বিরোধী দলনেতার ওপর। উল্লেখ্য, ডেডলাইনের প্রথম দিন সিবিআই হেফাজতে বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্য মৃত্যুতে চাপের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, খুনের অভিযোগ ওঠে সিবিআই এর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ডেডলাইনের দ্বিতীয় দিন আসানসোলে শুভেন্দু অধিকারীর কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এর পরই শাসক দলের তোপ গিয়ে পরে বিরোধী দলনেতার ওপর। এরপর সকলের নজরে ছিল ডেডলাইনের শেষ দিন।
এরই মাঝে সকলের জল্পনায় খানিকটা জল ঢেলে গতকাল দিল্লিতে ডেডলাইন প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্ন সুরে বিরোধী দলনেতা বলেন, “কালকের দিনটা গুরুত্বপূর্ণ। কাল কাঁথিতে সভা আছে।’’ এরপর ডিসেম্বরের পরিবর্তে জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে তাঁর মুখে শোনা গেল, “১৩ জানুয়ারি, ১৪ জানুয়ারি হতে পারে, তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না।’’ পাশাপাশি তিঁনি বলেন ‘‘কাল বড় কিছু হওয়ার বিষয় নেই। আমরা বলেছিলাম এগুলো গুরুত্বপূর্ণ তারিখ। কখনওই বলিনি ওই তারিখে সরকার পরিবর্তন হয়ে যাবে।’’
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতাকে এই নিয়ে খোঁচা দিতে দেরি করেনি রাজ্যের শাসক দল। মঙ্গলবার ডেডলাইন প্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যু হল। ১৪ তারিখ দেখলাম কম্বল দিতে গিয়ে নিরীহ লোকেদের মেরে ফেলল। কাল ২১ তারিখ। রাজনীতিতে তো নাকি ডিসেম্বরে সরকার পড়ে যাবে। ফুটো কলসি বাজে বেশি। কাল সবাই সাবধানে থাকবেন। এই বিজেপি নেতাদের কাছাকাছি কেউ যাবেন না। এরা খুবই বিপজ্জনক। তারিখ দিয়ে দিয়ে একটা করে মৃত্যু ডেকে আনছে। ফলে সবাই কাল বিজেপির থেকে একটু দূরে থাকবেন। বিজেপি বা বিজেপির যা শাখা সংগঠন আছে তাদের থেকে সাবধানে থাকবেন।’