বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বা ধর্মতলায় মঞ্চ বেঁধে ২১ জুলাই (21st July) শহীদ কর্মীদের স্মরণ করে শহীদ দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল। সাধারণভাবে এটাই রীতি। কিন্তু গত বছর করোনার কারণে প্রথমবার এই উৎসব ভার্চুয়ালি করার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। গত বছর ছিল করোনার প্রথম ঢেউ, যার জেরে কর্মীদের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি তৃণমূল সুপ্রিমো।
গত বছরের মতো এ বছরও কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলা। কড়া বিধিনিষেধের জেরে এখন অবশ্য সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তাও বিশাল রাজনৈতিক জামায়াতের জন্য ছাড়পত্র দেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। গত বছরের মতো এ বছরও জানানো হয়েছে শহীদ দিবস পালন করা হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। গতবছর কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকে বক্তৃতা রেখেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। এবারও সেভাবেই দলীয় কর্মীদের কাছে নিজের বার্তা পৌঁছে দেবেন তিনি।
এবার শুধু বাংলায় নয় দিল্লিতেও শোনা যাবে তার ভাষণ। জানা গিয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশনের জন্য এই মুহূর্তে দিল্লিতেই রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ এবং লোকসভার সাংসদরা। সেই কারণেই তাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। এছাড়া রয়েছেন দিল্লির দলীয় কর্মীরাও। সকলের কথা মাথায় রেখে পার্টির দলীয় কার্যালয়ে এলইডি স্ক্রিন লাগানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে অনেকেই মনে করছেন এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ। একথা ঠিক যে ২০২৪ সালে লোকসভাকেই পাখির চোখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই অনেকেই মনে করছেন, কার্যত দেশব্যাপী সমস্ত দলীয় কর্মীদের কাছেই তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাষণকে পৌঁছে দিতে চাইছে কর্মীরা।
রাজ্যসভার তৃণমূলের মুখ্য সচেতক সুধাংশু শেখর রায় বলেন, “করোনার কারণে এবার শহিদ দিবস ভারচুয়ালি পালন করা হচ্ছে। তাই দেশের যেখানে যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য-সমর্থক রয়েছেন, সেখানেই তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ শোনা যাবে। দিল্লির তৃণমূলের দপ্তরেও একইভাবে পালিত হবে ২১ জুলাই। আসলে সেই সময় সংসদের বাদল অধিবেশন চলবে। ফলে লোকসভা ও রাজ্যসভার বেশ কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ দিল্লিতেই থাকবেন। তাই দিল্লির তৃণমূল দপ্তরে একটি এলইডি স্ক্রিন লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”