বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের ২১ জন বিধায়কই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই দাবি আজকে নয়, বহুদিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এমনকি আগে এই কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) পাশে বসিয়েও বলেন বাংলার মহাগুরু। এদিন আবারও একসুর শোনা গেল মিঠুনের গলায়। সুকান্ত আবার একবার দাবি করেছিলেন, ‘মিঠুনদার সঙ্গে ২১ জন যোগাযোগ রাখলে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ৪১ জন যোগাযোগ রাখছেন।’
মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূলে অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সবাই সমান নন, দমবন্ধ অবস্থা রয়েছেন। আমাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে ২১ জন আমরা সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। আমি প্রোটোকল ছাড়া কাজ করি না। যা বলার বলে দিয়েছি। যে কোনও সময়ে, যা কিছু হতে পারে।’ প্রসঙ্গত, ইদানিং বঙ্গ বিজেপিতে সক্রিয় ভূমিকাতে দেখা যাচ্ছে মিঠুন চক্রবর্তীকে।
এর আগে বাংলায় এসে দাবি করেছিলেন যে তৃণমূলের ২১ জন জনপ্রতিনিধি যাদের মধ্যে কেউ সাংসদ, কেউ বা বিধায়ক, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এবার পঞ্চায়েতের প্রস্তুতিতে এসে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করলেন, ২১ নয়, তার বেশি সংখ্যক তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগে জোর দিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি।
দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলে ছিলেন, ‘মিঠুনদাই বলতে পারবেন ওই ২১ জন বা তার বেশি বিধায়ক কারা। একজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন আর তৃণমূলে ভালো লাগছে না। এরকম অনেকেই বলবেন হয়তো মিঠুনদার কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে৷’ উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই উলটো সু গাইলেন হাওড়া উদয়নারায়ণপুরের (Udaynarayanpur) বিধায়ক সমীরকুমার পাঁজা (Samir Panja)। ‘এখন বড়ই বেমানান লাগছে নিজেকে। একটা মেকি লিডার হতে চাই না।’