বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ থেকে চলেছে শাসক দলের আর এইবার সেই অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে লক্ষাধিক টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত নৈহাটি পুরসভায়। পুরসভার তিন কর্মীকে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করা হয়েছে, যে খবর সামনে উঠে আসার পরেই এবার আন্দোলনে নেমে পড়েছে সিপিএম সহ সকল বিরোধী দলগুলি।
শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে পথে নেমেছে সিপিএম দল। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে বিরোধ প্রদর্শন করে চলেছে তারা। ‘পুরসভাকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর করলে কেন বিধায়ক, চেয়ারম্যান তার জবাব দাও তোমরা।’ এহেন দাবি উঠে এসেছে পোস্টারগুলিতে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। এদিন ব্যারাকপুর বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরসভার অন্দরে বহুদিন ধরে দুর্নীতি হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা এবার পথে নামতে চলেছি।”
সম্প্রতি, নকল বিল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নৈহাটি পুরসভায় আর এর পরেই তদন্ত চালিয়ে পুরসভারই তিন জন কর্মীকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানার পুলিশ। এই খবর সামনে উঠে আসার পরেই পথে নামে বামেরা। অভিযোগ, নৈহাটি পুরসভা দ্বারা পরিচালিত অনুষ্ঠান ভবন এবং বিনোদন পার্কগুলি ভাড়া দেওয়ার নাম করে দুর্নীতি চালিয়ে চলেছে শাসক দল।
এদিন সিপিএম দলের এক নেতা বলেন, “গোধূলিতে একাধিক মানুষ অনুষ্ঠান ভবন ভাড়া নেয়। কিন্তু তারা যখন পরবর্তী ক্ষেত্রে সেখানে যায়, তখন তাদের নামে সেখানে কোনো রকম এন্ট্রি দেখা যায় না। অর্থাৎ পুরসভার নাম করে শাসক দলের কোন ব্যক্তির কাছেই পুরো টাকা ঢুকেছে। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে প্রায় 22 লক্ষ টাকার প্রতারণা হয়েছে মানুষদের সঙ্গে।”
যদিও এ বিষয়েকে বর্তমানে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল দল। নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, “সম্প্রতি যাদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই। তবে সিপিএম যে আন্দোলন করে চলেছে, তা ওদের মানায় না। আমাদের এলাকায় বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণে উন্নয়ন হয়েছে এবং এলাকাবাসীরা তা জানে।”