বাংলাহান্ট: এক সময় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের হিন্দু মন্দিরের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। সেই সময় মন্দিরের একাংশ হামলাকারীরা জ্বালিয়ে দেয়, এছাড়াও ভেঙে ফেলা হয়েছিল আরাধ্য দেবতার মূর্তি ।
তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই বিষয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। পাশাপাশি ডেকে পাঠানো হয়েছিল পাকিস্তানের হাইকমিশনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকে। ভারতেও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল নয়াদিল্লি। এবার পাকিস্তানি হিন্দু মন্দিরে এই হামলার ঘটনায় ২২ জন সাজা পেলেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুলাই মাসে, শত শত লোক লাহোর থেকে প্রায় ৫৯০ কিলোমিটার দূরে রহিম ইয়ার খান জেলার ভং শহরের গণেশ মন্দিরে আক্রমণ করেছিল। একটি আট বছর বয়সী হিন্দু ছেলে একটি মাদ্রাসাকে অপবিত্র করার অভিযোগে মন্দিরে হামলা চালানো হয়। এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ৮৪ বিরুদ্ধে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিচার শুরু হয় এবং গত সপ্তাহে এই বিচার শেষ হয়।
আদালতের এক আধিকারিক পিটিআইকে বলেছেন, “সন্ত্রাস বিরোধী আদালতের (বাহাওয়ালপুর) বিচারক নাসির হুসেন এই রায় দিয়েছেন। বিচারক ২২ দোষীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে”। এর পাশাপাশি, হিন্দু মন্দির ধ্বংসের প্রতিবাদে পাক পার্লামেন্টে পাশ হয় নিন্দা প্রস্তাব। মাস খানেকের মধ্যেই মন্দিরটি সংস্কার করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয় পাক সরকার।