বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক মাস ধরেই ভিন্ন ধর্মের মানুষ দলে দলে যোগ দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মে। বলা ভালো, ‘ঘর ওয়াপসি হচ্ছে তাদের। তাঁদের পূর্বপুরুষ, কোনও এক সময় হিন্দু ছিলেন। কিন্তু কখনও স্বেচ্ছায় কখনও বা পরিস্থিতির চাপে পড়ে তাঁরা গ্রহণ করেছিলেন অন্য ধর্ম। আবারও ফিরে আসছেন স্ব-ধর্মে। গতকাল রবিবার মধ্যপ্রদেশের বিখ্যাত বাগেশ্বর ধামের (Bageshwar Dham) পীঠাধীশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর (Dhirendra Krishna Shastri) হাত ধরে মোট ২২০ জন ফিরে এলেন হিন্দুধর্মে।
এদিন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধিশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেখানেই ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী আহ্বান করেন অহিন্দুদের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার জন্য। এই অনুষ্ঠানেই ওই ২২০ জনকে নিয়ে আসে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। জানা যাচ্ছে, এদিন মোট ৬২টি পরিবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসেন। জানা যাচ্ছে, ওই ৬২ পরিবার তাপ্রিয়ান, বারাপুর, চিতোরা, বামহাউরি গ্রামের বাসিন্দা।
এদিন ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী বলেন, ‘সবাই ভুল করেন। আমি অনুরোধ করি সকলকে শনি অথবা মঙ্গলবার হনুমান মন্দিরে যেতে। আমি কাউকে জোর করছি না। আমি জনপ্রিয়তাও চাই না। আমি কোনও ধর্মের বিরুদ্ধেও নই। আমি শুধু চাই রামচরিতমানসকে জাতীয় গ্রন্থ হিসাবে দেখতে এবং ভারতকে হুিন্দু রাষ্ট্র।
বাগেশ্বর ধামের মিডিয় কোর্ডিনেটর কমল ওয়াস্তি জানান, এদিনের ধার্মিক অনুষ্ঠানে একাধিক কর্মসূচী ছিল। ২ দিন ব্যাপী এই যজ্ঞে ছিল গণ বিবাহের ব্যবস্থা। গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি অসংখ্য মানুষ ধামে এসে উপস্থিত হন। সেখানে ওই ২২০ জনকে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনলেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধিশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্তী।
এই ৬২ পরিবারকে বাগেশ্বর ধামে নিয়ে আসাড উদ্যোগ নেয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। তাঁরা দাবি করেন, খ্রিস্টান মিশনারীদের সঙ্গে মিশে এরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। যারা হিন্দু ধর্মে ফিরে এসেছেন তাঁরা সকলেই বলছন তাদেরকে লোভ দেখিয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছিল। তবে আজ তারা খুশি নিজেদের স্বধর্মে ফিরে আসতে পেরে।