বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়ে হলো দুই মনের মিলন। সেই মিলন মুহূর্তের সাক্ষী হতে চান দুই পরিবারের সকলেই। আর তার জন্যই আয়োজন করা হয় হরেক রকম খানাপিনা, মনোরঞ্জনের নানা পন্থা। কিন্তু বিয়েবাড়িতে নেমন্তন্ন পেলেই সবাই খেতে যায় মহা আনন্দে, সাথে অবশ্য সাধ্যমত কিছু উপহারও থাকে। কিন্তু একবারও এটা ভেবে কেউ দেখেন না, এই বিয়ের আসরের আয়োজন করতে কতো টাকা খসলো পাত্র – পাত্রীর বাড়ির পকেট থেকে!
সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে কনে পক্ষ সকল আমন্ত্রিতদের তার বিয়েতে খরচা হওয়া টাকা উপহার হিসাবে দিতে বলেছেন। কী, অবাক লাগছে? অবাক লাগলেও এঘটনা সত্যিই। কিন্তু সমস্যা বেঁধেছে অন্য জায়গায়। ওই মহিলা দাবি করেছেন, মধুচন্দ্রিমা সহ তার বিয়েতে মোট খরচ ২৩ লক্ষ টাকা! এবার তাহলে ভাবতে পারছেন কেউ যদি এতো টাকা আমন্ত্রিতদের কাছে উপহারস্বরূপ চায় তাহলে তাদের কি অবস্থা হবে?
সম্প্রতিককালে পরিচিত একজনের বিয়েতে গিয়ে এক রেডিট গ্রাহকের এরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। রেডিট গ্রাহক জানিয়েছেন, বিয়ের কনে তার বিয়ের খরচ, বিয়ের পোশাক, আমন্ত্রিত অতিথিদের খাবার, ফটোগ্রাফার এসবের জন্য ২৩ লক্ষ টাকা হিসাব ধরেছেন। এমনকি সেই হিসাবে তার মধুচন্দ্রিমার যাবতীয় খরচও আছে বলে জানা গেছে। এত পরিমান টাকা আমন্ত্রিত অতিথিদের কাছ থেকে তুলতে চেয়েছেন সেই কনে। তাই তিনি তার বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অন্য কোনো উপহার নয়, তার বদলে টাকা দেবেন।
মজা করে নিন্দুকেরা বলছেন, ২৩ লক্ষ টাকা যদি বিয়ের খরচ হয় আর বিয়ের অতিথি সংখ্যা যদি দেড়শ হয়, তাহলে ভাগের টাকার কথা হিসাব করেই বিয়ে খাওয়ার ইচ্ছা চিরকালের মত উবে যাবে।