বাংলা হান্ট ডেস্ক : এখনও মেটেনি শ্রদ্ধা হত্যা মামলার (Shraddha Walkar Murder Case) ক্ষত। তাজা ঘটনা নিক্কি যাদব হত্যা কাণ্ডও (Nikki Yadav Murder Case)। এরই মধ্যে ফের নারী নির্যাতনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। ঘটনা আবারও সেই দেশের রাজধানী শহরের। এবার বাবা এবং ছেলেকে দিল্লি পুলিস গ্রেফতার করল এক ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে। ২৩ বছরের ডাক্তারি পড়ুয়া ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতেই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিস।
পুলিস সূত্রে খবর অভিযুক্ত পুত্র একজন ব্যাঙ্ক কর্মচারী। নির্যাতিতা তরুণী জানান, অভিযুক্ত তাঁকে শুধু ধর্ষণই করেন নি, তারউপর সেই অত্যাচারের ভিডিও তুলে রাখে। পরে তাঁকে ওই ভিডিও দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের জন্য জোর করা হয়। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যঙ্ক কর্মচারী পুত্রের নাম আখলাখ শেখ (৩০), এবং তাঁর ৫২ বছর বয়সী পিতাকেও পুলিস গ্রেফতার করেছে।
কী হয়েছিল ঘটনা? ২৩ বছরের ওই তরুণী গ্রেটার নয়ডার একটি বেসরকারি কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়ছিলেন। ২০২১ সালে ফেসবুকের অভিযু্ক্ত আখলাখের সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। সেই সময় ওই তরুণী কোটার একটি কোচিং সেন্টারে মেডিকেলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ফেসবুক থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের আদানপ্রদান হয়। প্রায় ৪ মাস ধরে চলতে থাকে তাদের বন্ধুত্বের পর্ব।
এরপর আসে প্রথম দেখার সুযোগ। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তারা প্রথম দেখা করে। অভিযুক্ত যুবক তখন জানায় তার নাম অলোক শর্মা। প্রথম দেখা করে অভিযুক্ত যুবক তার এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায় তরুণীকে। সেখানে তারা শারীরিক ভাবে মিলিত হয়। সেই সময়ই তরুণী জানতে পারেন ওই যুবক আদতে মুসলিম। তরুণী জানান, যদি আখলাখের নাম তিনি আগে থেকে জানতেন তাহলে তার সঙ্গ তিনি কথাই বলতেন না।
এখানেই শেষ নয়, তরুণী জানতে পারেন আখলাখ বিবাহিতও। তখন তিনি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান। এরপর ২৬ জানুয়ারি আখলাখ তার বাবাকে নিয়ে তরুণীর কলেজেও হানা দেয়। সেখানে দু’জন মিলে তাঁকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করে। আপাতত বাবা এবং ছেলে দুজনেই শ্রীঘরে ঘটনার সত্য জানতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।