শিক্ষার ভয়াবহ চিত্র ধরা পড়ল বাংলায়! হাওড়াতে বন্ধ হয়ে গেল ২৫টি স্কুল

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহামারি করোনার আক্রমণে পাল্টে গিয়েছে গোটা পৃথিবীর অর্থনৈতিক মানচিত্র। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনের ফলে কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ। শিক্ষা থেকে কর্মক্ষেত্র করোনার দাপট চলেছিল সব জায়গাতে। করোনার দাপট থেকে রেহাই পায়নি স্কুল পড়ুয়াও। করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল ও কলেজ। অনেক ক্ষেত্রে কিছু স্কুল অনলাইনে পড়াশোনা চালালেও বহু সরকারি স্কুলে সেই সুযোগ ছিল না। এর ফলে স্কুলছুট হয় বহু পড়ুয়া। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় কাজে যোগদান করে বহু পড়ুয়া। বাড়তি রোজগারের আশায় কাজে যোগদান করা সেইসব পড়ুয়ারা পুনরায় স্কুলে ফিরতে চাইছে না। করোনার অভিশাপ কাটিয়ে যখন স্কুল গুলি ধীরে ধীরে খুলতে থাকে তখন প্রত্যেকটি স্কুলেই কমতে থাকে পড়ুয়ার সংখ্যা। অনেকটা বাধ্য হয়েই পড়ুয়া সংখ্যা কমে যাওয়ায় হাওড়ার ২৫ টি স্কুল বন্ধ করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পড়ুয়ার সংখ্যা কম হওয়ায় এই স্কুলগুলি বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৫ টি স্কুলের অধিকাংশ গুলোই চলত ভাড়া বাড়িতে। এর ফলে করোনা পরবর্তী সময়ে যখন স্কুল গুলি খোলা হয় তখন দেখা যায় তাতে পড়ুয়ারা আসছে না, এর ফলে অহেতুক ভাড়া গুনতে হচ্ছে পর্ষদকে। এর পাশাপাশি ওইসব স্কুলের শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে সংসদ-সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ জানিয়েছেন, স্কুলগুলি পাকাপাকিভাবে বন্ধ করা হয়নি। যদি ভবিষ্যতে দেখা যায় পড়ুয়ারা স্কুলে ফিরতে চাইছে তাহলে পুনরায় স্কুলগুলি খোলা হবে। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, স্কুলগুলি পুনরায় খোলা হোক, নয়তো পড়ুয়াদের অনেক দূরে যেতে হচ্ছে।

jpg 20220701 120014 0000

ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেন্ড প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিন্টু পাড়ুই জানিয়েছেন, শিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। সরকারি স্কুলে পড়াশোনার গুণগতমান খুবই কম। এর ফলে অধিকাংশ পড়ুয়া বেসরকারি স্কুলে চলে যাচ্ছে। এভাবে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নত করে ছাত্র-ছাত্রীদের আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। সমীক্ষার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা উচিত। দ্রুত এই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর