বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আপানারা কি কেউ আগে শুনেছেন বাঁদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হ্যাঁ এমনই ঘটনা ঘটল কানপুরের (kanpur) মির্জাপুর (Mirzapur) এলাকায়। আজ অবধি কেউ কি শুনেছেন বাঁদরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে? আসা করি এইরকম ঘটনা কেউই শোনেননি। বাস্তবে এবার ঠিক এই রকমই ঘটনা ঘটল। একটি বাঁদরকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানপুর চিড়িয়াখানা। মির্জাপুর জেলায় এককথায় তাণ্ডব চালিয়েছে এই বাঁদরটি আর তার নাম কালুয়া। কম করে ২৫০জনকে কামড়ে দিয়েছে যাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেকারণেই এবার তাঁকে বন্দি করার নির্দেশ দিলেন চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ।
সূতের খবর, মির্জাপুর জেলায় একটি বাসিন্দার পোষা বাঁদর এটি। আর ওই লোকটাই নিয়মিত মদ খাওয়াতেন বাঁদরটিকে। একটি সময় বাঁদরটি মদ ছাড়া থাকতে পারত না। বেশ কিছুদিন পরেই মৃত্যু হয় বাঁদরটির মালিকের। তারপর থেকেই নিয়মিত ভাবে বাঁদরটির মদ খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, আর তাতেই রেগে গিয়ে সকলকে কামড়াতে শুরু করে বাঁদরটি। শেষে বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা চিড়িয়াখানায় খবর দেন। চিড়িয়াখানার লোকেরা এসে বাঁদরটিকে বন্দি করে।
চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘প্রথমে আমরা কিছুদিন এই বাঁদরটিকে আলাদা করে রেখেছিলাম। তারপরে এটিকে নিয়ে যাওয়া হয় চিড়িয়াখানায়। সেখানেও আলাদা কাছেই রাখা হয় তাকে। কিন্তু তার স্বভাব এখনো পাল্টায় নি। তিনবছর হয়ে গেল, এখনও একই রকমের আছে বাঁদরটি। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার থেকে সারা জীবনের জন্য কাছেই বন্দি করে রাখা হবে বাঁদরটিকে। ছাড়া থাকলে এটি সাধারণ মানুষের ক্ষতি করবে। ’ চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন তাদেরও এক মত। তারা বাঁদরটির বয়স ছ’বছর। এটিকে ছেড়ে দিলেও স্বভাব কোনদিন পাল্টাবে না।