৩ টি প্রধান কারণ, যার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়ে রেকর্ড গড়ে ডুরান্ড জিতলো মোহনবাগান

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ গ্রুপ পর্বের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হারের জ্বালা ডুরান্ড কাপের ফাইনালে মিটিয়ে নিলো মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ১০ জন হয়ে গিয়েও ইস্টবেঙ্গলকে ১-০ ফলে হারিয়ে আরো একটা ট্রফি জিতলো সবুজ মেরুন শিবির। সমর্থকরা মাঝে কিছুটা চিন্তায় পড়তে হলেও শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ তারকা খেলোয়াড়দের দিয়ে যে জন্য দল গঠন করা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্যটা মরশুমের শুরুতেই পূর্ণ হয়ে গেল।

ইস্টবেঙ্গল যে এই ফাইনালে খারাপ ফুটবল খেলেছে সেটা বলা যাবে না। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল এই ফাইনালকে কেন্দ্র করে। গ্রুপ পড়বে তার আজ মোহনবাগানের দেখা পেয়েছিল তার চেয়ে এই মোহনবাগান যে অনেকটাই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে সেটা তিনি খুব ভালো করেই জানতেন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন এবং একটা নির্দিষ্ট সময় অবধি তার প্ল্যান কাজও করেছিল।

মোহনবাগানের অনিরুদ্ধ থাপা লাল কার্ড দেখার পরে সকলেই ভেবে নিয়েছিল যে ফাইনালে অঘটন ঘটিয়ে জিততে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষপর্যন্ত তেমনটা হয়নি। কেন এই তারকা সমৃদ্ধ মোহনবাগান কে কিছুটা বেগ দিলেও ইস্টবেঙ্গল কাজের কাজটা করতে পারল না তার মূলত তিনটি কারণ রয়েছে।

আরও পড়ুন: বদলা নিলো মোহনবাগান! পেট্রাটোসের গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডুরান্ড জয় সবুজ মেরুন শিবিরের

◆ প্রথমত, গা ছাড়া মনোভাব। ইস্টবেঙ্গল ভেবে নিয়েছিল যে প্রতিপক্ষ দশ জন হয়ে যাওয়ার পর খেলা থাকবে তাদের নিয়ন্ত্রণে। হয়তো ইস্টবেঙ্গলের কিছু ফুটবলার ভুলে গিয়েছিলেন যে উল্টো দিকে যে দলটা রয়েছে তারা একাধিক মহাতারকা সমৃদ্ধ। নিজের দিনে যে কেউ একা ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আর্থিক সেই কাজটাই আজ করে গিয়েছেন পেট্রাটোস।

◆ দ্বিতীয়ত, গোলটি হওয়ার সময় তারা মোহনবাগানের প্রতি আক্রমণটি রোখার কোন চেষ্টাই করেনি। পেট্রাটোস মাঝ মাঠে বল ধরে এগিয়ে আসছিলেন এবং ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগ ও কিছু মাঝ মাঠের ফুটবলাররা পিছিয়ে চলেছিলেন তার সাথে সাথে। সেই সময় কোনও একজনও যদি মোহনবাগান ফরোয়ার্ডের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করতেন তাহলে হয়তো গোলটি আটকানো যেত।

◆ তৃতীয়ত, সুযোগ নষ্ট। এই ভুল চলতি টুর্নামেন্টে বেশ কিছু বার করেছে লাল হলুদ শিবির। আজকের ম্যাচে গত ডার্বির হিরো নন্দকুমার দল পিছিয়ে যাওয়ার পর ফাঁকায় দাঁড়িয়ে একটি হেডে গোল করার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন। ক্লিয়েটন সিলভা আগের বছর ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ উইনার ছিলেন কিন্তু এই বছর তিনি চূড়ান্ত ফ্লপ। ফলে কিছু সুযোগ তৈরি হলেও বেঙ্গল সেগুলি কাজে লাগাতে পারেনি। আর এইরকম বড় ম্যাচে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না, পারলে তার ফল যে ভুগতে হবে সেই নিয়ে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর