বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দলবদলুদের মোহভঙ্গ হয়েছে। অনেকেই এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যেতে কাতর আবেদন করছেন। শনিবার তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সোনালী গুহ সরাসরি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করে তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানান। তিনি এও বলেন যে, মাছ যেমন জল ছাড়া থাকতে পারে না, তেমনই সোনালী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া থাকতে পারে না।
সোনালী গুহ এও বলেন যে, ওনার বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল। তিনি অভিমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি দলে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তিনি এও বলেন যে, বিজেপির নেতারা আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে বলছেন, আমি বেঁচে থাকতে তা পারব না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন কোনও খারাপ দিক নেই যা নিয়ে কুৎসা রটানো যায়।
আরেকদিকে, গতকাল সোনালী গুহর বিদ্রোহর পর আজ মালদহের নেত্রী সরলা মুর্মুও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তিনিও সোনালী গুহর সুরেই বলেছেন যে, ওনার বিজেপিতে যোগ দেওয়া ভুল হয়েছিল। তিনি তৃণমূলে ফিরে গিয়ে সেই ভুল শোধরাতে চান। সরলা মুর্মু এও বলেছেন যে, তিনি আজীবন মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সঙ্গেই কাজ করতে চান।
আবার এতকিছুর মধ্যে ইটাহারের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য, যিনি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি এবার তৃণমূলে ফিরে যেতে চান। অমলবাবু অতিমারিতে তৃণমূলের নেতাদের গ্রেফতারির বিরোধিতা করে বিজেপি ছেড়ে আবারও তৃণমূলে ফিরে যেতে চান।
একের পর এক তৃণমূলের দলত্যাগি নেতারা ফিরে যেতে চাওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এঁরা একাই না সবাই এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসতে চাইছে। তাঁরা বুঝে গেছে যে, বিজেপি মানুষের হয়ে আর মানুষের জন্য কাজ করেনা। কুণাল ঘোষ বলেন, এই মুহূর্তে আমরা করোনা পরস্থিতি আর কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করছি, তাই এখন এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। কুণাল ঘোষ আরও বলেন, শুধু দলত্যাগীরাই নন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চাইছে ৮ জন বিধায়ক এবং ৩ জন সাংসদ। যদিও, কুণালবাবু কারও নাম উল্লেখ করেন নি।