বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সিবিআই (CBI) এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালে চিকিৎসককে হত্যাকাণ্ডের পর গত ১৬ অগস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মাঝে শনি এবং রবিবার না ডাকা হলেও সোমবার ফের তলব করা হয়। আর এইদিনই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
আর জি কর (RG Kar) কাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন
সোমবার রাতেই আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। তবে কেবল সন্দীপ নন, সোমবার রাতে সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির পর আরও তিন জনকে পাকড়াও করে সিবিআই। সুমন হাজরা, বিপ্লব সিংহ এবং আফসর আলিকেও গ্রেফতার করে সিবিআই। জানা গিয়েছে এদের মধ্যে আফসর আলি সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। বাকি সুমন ও বিপ্লব হাসপাতালের ভেন্ডর।
আর জি করের ঘটনার পর থেকেই সিবিআই এর নজরে আসে সন্দীপ। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও উঠে আসে। এর আগে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ একযোগে ১৫ জায়গায় তল্লাশিতে চালায় সিবিআই। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেন গোয়েন্দারা। এরপরই আলিপুর কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিন জনকেই বেআইনি ভাবে হাসপাতালে ক্যাফেটেরিয়া, পার্কিং লট-সহ নানা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ। সেই অভিযোগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে বিপ্লব সিংহ তার ‘মা তারা ট্রেডার্স’ সংস্থার মাধ্যমে হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করত। আগেই তার বাড়ি ও সংস্থায় হানা দিয়েছিল সিবিআই। অপরদিকে ‘হাজরা মেডিক্যাল শপ’ এর মালিক সুমন হাজরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি ওষুধের দোকানেও আগে হানা দিয়েছিল সিবিআই।
আরও পড়ুন: কাউন্টডাউন স্টার্ট, সামনে এল DA ঘোষণার ফাইনাল তারিখ! সরকারি কর্মীদের জন্য জোড়া সুখবর
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রকাশ্যে সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন আর জি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। গত ২১ অগস্ট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আখতার। এর আগে রাজ্য সরকারও এই বিষয়ে তদন্ত করার জন্য SIT তৈরী করেছিল। সেই সিট-র হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে গত ২৩ অগাস্ট এই তদন্ত করার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।