যাত্রা পথে কেষ্টর সঙ্গে সাদা SUV করে সাক্ষাত করলেন ৩ ব্যক্তি, পরিচয় প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর রাখির দিন গ্রেফতার হয়েছিলেন। আর এ বছর সব ঠিক থাকলে দোলের দিনই বাংলা থেকে বিদায় নিতে হবে ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। মঙ্গলবারই দিল্লি পৌঁছে যাচ্ছেন কেষ্ট। এদিন কলকাতা যাওয়ার পথেই বর্ধমানের শক্তিগড়ে (Shaktigarh) কনভয় থামিয়ে প্রাতরাশ সারেন কেষ্ট মণ্ডল। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় সংবাদমাধ্যমকে তার কাছে ঘেঁষতে না দেওয়া হলেও, অনুব্রত সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শক্তিগড়ে আসেন তিন রহস্যময় ব্যক্তি (Suspicious Person)।

সূত্রের খবর, ওই তিন ব্যক্তি বীরভূম থেকে সাদা SUV গাড়ি করে তৃণমূলের অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। পরে খবর নিয়ে জানা যায় যে গাড়িটি করে রহস্যময় তিন ব্যক্তি এসেছিলেন সেটির নম্বর ডাব্লিউ বি ৪১ এইচ ০০০৭। গাড়িটি কার নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে সেই খোঁজ নিতেই সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে মলয় পিটের (Malay Pit) নাম।

জানিয়ে রাখি, এই মলয় পিট শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার। তার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের লেনদেন হওয়ায় পূর্বে তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর।

anubrata

তবে কারা এই তিন ব্যক্তি? কী পরিচয় তাদের? মলয় পিটের গাড়িতে চেপে ঠিক কী কারণে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে শক্তিগড়ে পৌঁছান তারা? কী কথাবার্তা হল তাদের মধ্যে? মলয় পিট নিজে এসেছিলেন? না এলে ৩ ব্যক্তিকে কে বা কারা পাঠিয়েছিলেন? এই সকল প্রশ্নে ক্রমেই জমছে ধোঁয়াশা। তবে কী কেষ্টর দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত হতেই কোনো বার্তা পাঠানো হয়েছে? তুঙ্গে জল্পনা।

তবে এই বিষয়ে গাড়ির মালিক মলয় পিট জানান, এই বিষয়ে কোনো কিছু জানা নেই। তার অনেক গাড়ি আছে তাই কে বা কারা সেই গাড়ির ভেতরে ছিলেন সেই নিয়েও এখন কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর