বাংলা হান্ট ডেস্ক: যতই মেঘ রোদ্দুর উকি ঝুঁকি খেলুক, যতই মেঘলা আকাশ ঝরাক বরিষ ধারা। কিন্তু তাও, বাঙালির কাছে একটাই সত্যি এখন, পুজো আসছে।আজ ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহালয়ার সুর সূচনা করে দিয়েছে পুজোর। তাল মেলাতে তৈরি বাঙালিও। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ, শহর কলকাতা মুড়ে যাচ্ছে আলোর রোশনাই তে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে, চলছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। কোথাও থিম, কোথাও বারোয়ারি। থিম পুজোর উদ্যোক্তা থেকে শিল্পীরা শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় মণ্ডপের মধ্যে ফুটিয়ে তুলছে তাদের অভাবনীয় সব ভাবনা। রক্ত জল করে দিনরাত পরিশ্রম করেছে শিল্পীরা। তার তো একটাই কারণ, বাড়িতে আসছে উমা। আর কলকাতায় আসছে উমা শারদ সন্মানের ২০১৯।
গতকাল উমা শারদ সন্মানের দ্বিতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনের ভিজিট সম্পূর্ণ হলো। গতকাল কলকাতার মোট পাঁচটি জায়গায় দশ জন জাজ গিয়ে সেখানকার পুজো গুলোকে পরিদর্শন করে আসে।আর আজকে দ্বিতীয় রাউন্ডের তৃতীয় এবং শেষ দিনের ভিজিট সম্পূর্ণ হলো। আজকে সল্টলেক, কালীঘাট, হাজরা, ভবানীপুর, শরৎ বোস রোডের পুজো গুলো দেখে নিয়ে জাজেস রা তাদের পছন্দ দেখে নিয়েছেন।এই তিন দিনে বিচারক রা কলকাতার দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা কলকাতার মোট ২৪০ থেকে ২৫০ এর ওপর মণ্ডপ দেখে বিচারক রা ঠিক করে নেন কারা উঠবে উমা শারদ সন্মানের সেমি ফাইনালে। আজকে সন্ধ্যে ৬ টা র পর উমা শারদ সন্মানের বিশেষ ভিজিট হয় যেখানে উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু মণ্ডপ পরিদর্শন করে নেন বিচারক রা। আজ সন্তোষপুর , রাজ ডাঙা নবউদয় এর মতন পুজো গুলিকে পরিদর্শন করে নেন বিচারক রা। উদ্যোক্তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তুমুল উৎসাহ যা না বললেই নয়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কলকাতার বুকে উমা শারদ সন্মানের জন্য তৈরি হয়ে গেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। পাড়ায় পাড়ায় শুরু লড়াই। পারদ এখন ঊর্ধ্বমুখী।