মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর শেষকৃত্যের সময় “বেঁচে” উঠল ৩ বছরের “মৃত” শিশু, কফিন থেকেই ডাকল মাকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাঝে মাঝে আমরা এমন সব ঘটনার সাক্ষী থাকি যা রীতিমতো স্তম্ভিত করে দেয় সবাইকে। এমনকি, সেইসব ঘটনা এতটাই চমকপ্রদ হয়ে যে সেগুলির খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্ৰ বিশ্বে। এমনিতেই আমরা সকলেই জানি যে, জীবনের চরম পরিণতি হল মৃত্যু (Death)। অর্থাৎ, একবার কেউ মৃত্যুবরণ করলে আর তাঁর বেঁচে ওঠার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু, এবার এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা শুনে চমকে উঠবেন আপনিও।

জানা গিয়েছে, চিকিৎসকেরা “মৃত” ঘোষণা করে দেওয়ার পরও ঠিক অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালীন হঠাৎই “বেঁচে” উঠল তিন বছর বয়সি “মৃত” শিশুকন্যা। আর এইরকমই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোর সান লুইস পোটোসিতে। এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন ওই শিশুটির মা-বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা। এমনকি, চমকে উঠেছেন চিকিৎসকেরাও।

মূলত, গত ১৭ অগস্ট থেকে ক্যামিলা মার্টিনেজ নামের ওই শিশুটির পেটে ব্যথার পাশাপাশি, জ্বর এবং বমি হতে থাকে। এরপরই ক্যামিলার বাবা-মা তাকে একটি শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, পেটে সংক্রমণ নিয়ে ক্যামিলাকে সেলিনাস ডি হিডালগো কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এমতাবস্থায়, ক্যামিলার মা মেরি জেন মেন্ডোজা জানান যে, ক্যামিলার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য প্রথমে তার শরীরের উপর একটি ঠান্ডা তোয়ালে রেখে দেন চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, তাঁরা অক্সিজেনের মাত্রাও পরীক্ষা করে দেখেন। এভাবে, এক ঘণ্টা হাসপাতালে রাখার পর ক্যামিলাকে ছেড়ে দেন সেখানকার চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।

কিন্তু, ঠিক তার পরের দিনই ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতির হতে থাকে ক্যামিলার। এমনকি, তাকে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়। এমতাবস্থায়, তার শরীরের জলাভাব দেখা দেওয়ায় ওই চিকিৎসক ক্যামিলাকে প্রচুর জল এবং ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু, বাড়িতে ফিরেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। অবস্থা বেগতিক বুঝে ক্যামিলাকে হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়। কিন্তু, সেখানেই চিকিৎসক এবং নার্সরা জানিয়ে দেন মৃত্যু হয়েছে ক্যামিলার।

1 630735cb24145

এদিকে, এই মর্মান্তিক খবর শুনে ভেঙে পড়েন ক্যামিলার পরিবারের লোকজন। জানা গিয়েছে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় ক্যামিলাকে যখন কফিনবন্দি অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় তখন মেন্ডোজা চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বারংবার বলতে থাকেন যে তাঁর মেয়ে বেঁচে আছে এবং কফিনটিকেও খুলতে বলেন তিনি। কিন্তু, সবাই সেটিকে গভীর আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মনে করলেও কফিন খুললে দেখা যায় যে, ক্যামিলা বেঁচে আছে এবং মাকে ডেকে কাঁদছে। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনায় হুঁশ উড়ে যায় সবার। এদিকে, জীবিত থাকাকালীন কিভাবে ক্যামিলাকে “মৃত” ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা তা নিয়েও প্রশ্নের ঝড় উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, ক্যামিলার পরিবার হাসপাতালের চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনেছে বলেও জানা গিয়েছে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর