বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেতা অভিনেত্রীদের প্রতি ভক্তদের ভালবাসা যে কোন উচ্চতায় পৌঁছাতে তার নতুন নিদর্শন দেখল দেশবাসী। দক্ষিণী সুপারস্টার পুনিত রাজকুমারের (puneeth rajkumar) আকস্মিক মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাঁর ভক্তরা। গত ২৯ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অকালমৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। ১২ দিন কেটে গেলেও তাঁর সমাধিস্থলে উপচে পড়ছে ভিড়।
প্রতিদিন প্রায় ৩০ হাজার জন মানুষ জড়ো হচ্ছেন পুনিতের সমাধিতে। ভিড়ের মধ্যে ছোট বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ রয়েছেন সকলেই। ৮৭ বছরের এক বৃদ্ধা এসেছিলেন অভিনেতার সমাধিতে। চোখে জল। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, পুনিতের বাবার সব ছবি দেখা তাঁর। ছেলেরও দেখেছেন কয়েকটা। পুনিতের সঙ্গে একাত্ম বোধ করেন তিনি।
ছোট্ট ছেলেকে কোলে নিয়ে এক ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছেন শিবকুমার নামে এক ব্যক্তি। পেশায় ব্যবসায়ী তিনি। বড় ছেলের নাম রেখেছেন পুনিতের নামে। তাঁর বক্তব্য, শুধু অভিনেতা না। সমাজের প্রতিও প্রয়াত অভিনেতার কর্তব্যবোধ শিক্ষণীয় ছিল।
১৮০০ জন অনাথ ছেলেমেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন পুনিত। অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজের কল্যাণেও নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। তাঁর আচমকা চলে যাওয়াতে নতুন করে অনাথ হয়ে পড়েছে তারা। এমতাবস্থায় অসহায়দের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আরেকজন তেলুগু অভিনেতা বিশাল।
পুনিতের অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলেন তিনি। প্রকৃত বন্ধুর মতোই বন্ধুর ফেলে যাওয়া কাজ নিজে সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব নিলেন বিশাল। তিনি জানান, পুনিত যে স্বপ্নটা দেখেছিলেন সেটা তিনি পূরণ করবেন। পুনিতের জন্য ১৮০০ জন ছেলেমেয়ে বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগ পেত। এখন সেই দায়িত্ব নিলেন বিশাল। নিজের টাকা খরচ করে পুনিতের স্বপ্ন পূরণ করবেন বলে জানালেন তিনি। দরকার হলে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করতেও রাজি বিশাল।
গত ২৯ অক্টোবর, শুক্রবার বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পুনিত। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুর খবর সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন দুজন। পুনিতের মতোই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় আরেক হতভাগ্যের।