বাংলা হান্ট ডেস্ক:বিগত কয়েকমাস ধরেই প্রবল আর্থিক সংকটের (Financial Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কেরল (Kerala)। যার ফল ভুগছে রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের সরকারি কর্মীরা। জানা বর্তমানে এই রাজ্যের পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে অর্থ সংকটের জেরে একবারে সরকারি কর্মীদের (Govt Employees) বেতন মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।
তাই বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই কেরল পরিবহণ দফতরের কর্মীদের মাসিক বেতন একেবারে নয় কয়েক কিস্তিতে মেটাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে এই রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কর্মীদের এনপিএস নিয়ে সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।বর্তমানে করলে ক্ষমতায় রয়েছে বাম সরকার। কিন্তু সরকারি কর্মীদের এনপিএস-এর প্রায় ৩০০ কোটি টাকা অ্যাকাউন্টে ভরতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।
এরফলে একজন কর্মীর পেনশন অ্যাকাউন্টে যত টাকা থাকার কথা, তার থেকে কয়েক লাখ টাকা কম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে এই কেৱল সরকার এনপিএস অ্যাকাউন্টে সময় মতো টাকা না দিতে পারায় যে সমস্ত সরকারি কর্মীর পেনশন অ্যাকাউন্টে বর্তমানে ১০ থেকে ১২ লক্ষটাকা থাকার কথা ছিল, তাঁদের এক একজনের অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৬ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা।
আর এরফলে এক ধাক্কায় কেরল পরিহণ দফতরের চালক এবং কন্ডাক্টারদের এক একজনের লোকসান হচ্ছে প্রায় কয়েক লাখ টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরলের এই চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেই পরিবহণ দফতরের কর্মীদের বেতন থেকে এনপিএস-এর টাকা কাটা হলেও তা পেনশন অ্যাকাউন্টে জমা করা হচ্ছে না। উল্টে তা ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবহণ দফতরের কাজেই।
আরও পড়ুন: ‘লোকের টাকায় মদ মাংস খাবেন, আর ভুগবে দল?’ মুখ্যমন্ত্রীর পর এবার কড়া ডোজ উদয়নের
শুধু তাই নয় সরকারের তরফ থেকেও এনপিএস-এ যে পরিমাণ টাকা জমা করার কথা, সেই টাকাও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এখানে বলে রাখি, প্রত্যেক মাসে সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ হারে টাকা কেটে তা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমে জমা করে থাকে সরকার। আর একই পরিমাণ অর্থ সরকারের নিজের পকেট থেকেও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার হয়।
তবে এবার কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেছেন, পরিবহণ দফতরের কর্মীদের মাসিক বেতন এবার থেকে আর কিস্তিতে নয় বরং একবারেই মেটানো হবে। শুধু তাই নয় এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন পরিবহণ দফতরের কর্মীদের বেতন একবারে পরিশোধের জন্যে রাজ্য সরকার-ও সাহায্য করবে।