বাংলা হান্ট ডেস্ক : যত পঞ্চায়েত নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে রাজ্যের শাসক দলে। ফের তৃণমূলে (Trinamool Congress) ভাঙন ধরল নিউটাউনে। প্রায় ৩০০ তৃণমূল কর্মী যোগ দিলেন সিপিআইএম (Communist Party of India Marxist)-এ। ঘটনা রাজারহাট বিষ্ণুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহম্মদপুর শীলপোতা মোড় এলাকার। বিষ্ণুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সক্রিয় তৃণমূল নেতা সেলিম মোল্লা ও মুজিবর মিস্ত্রির নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী এদিন যোগ দেন সিপিআইএম-এ।
শুধু তাই নয়, সিপিআইএম-এ যোগ দিয়েই তারা সিপিআইএম-এর হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পৌঁছে যান রাজারহাট বিডিও অফিসে। সেলিম মোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েত ও মুজিবর মিস্ত্রি রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নন জমা দিতে যান বলে জানা যাচ্ছে।
সদ্য সিপিআইএম-এ যোগ দেওয়া সেলিম মোল্লা জানান, ‘১৭৯ নম্বর বুথ রাজারহাট বিষ্ণুপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। অহংকার ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। ঔদ্ধত্য ওদের বেড়ে গেছে। চারিদিকে দুর্নীতি। এর জন্য আমরা তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমের হয়ে নমিনেশন দিতে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো লোক যোগদান করেছে। তৃণমূলের জনজোয়ার উঠেছিল। এখন আর নেই। এখন ভাটার সময়। আরও ভাটা পড়বে ভোটের রেজাল্ট বার হওয়ার পরে বুঝতে পারবেন। মানুষ ওদের পাশে নেই। আমাদের পাশেই আছে।’
সদ্য সিপিআইএম-এ যোগ দেওয়া মুজিবর মিস্ত্রি দাবি করেন, এলাকায় যে আনসার মাস্টার আছেন, তিনি সর্বনাশ করেছেন এই দলটাকে। আমি সমিতি থেকে দাঁড়িয়েছি ওর বিরুদ্ধে। আজকে ও আমাকে ৭-৮ দিন ধরে ঘোরাচ্ছে টিকিট দেবে বলে কিন্তু দেয়নি। এখন বলছে দেবে, কিন্তু আমি তো এখন বেরিয়ে গেছি। আনসার মাস্টার এলাকার তৃণমূল নেতা। ও ইচ্ছে মতো চলে। আমাদের কোন কথা শোনে না।’
তিনি অভিযোগের সুরে আরও বলেন, ‘আমাদের সাথে কোনও বৈঠক করে না। সূত্রের খবর তৃণমূল থেকে প্রার্থী না হওয়ার কারণেই তাঁদের দল ত্যাগের সিদ্বান্ত। যদিও এটা স্বীকার করতে রাজি নয় তারা। আর এই যোগদানের ফলে সিপিআইএম-এর শক্তি আরও বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছে সিপিআইএম নেতৃত্ব।’