বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতীয় রেলে (Indian Railways) বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে। যেগুলির মধ্যে বৈদ্যুতিকরণ থেকে শুরু করে সমগ্র ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, নতুন ট্রেন, কোচ প্রবর্তন, সেমি-হাই স্পিড এবং হাই স্পিড রেল নেটওয়ার্ক তৈরি, কবচ সিস্টেমের বাস্তবায়ন এবং রেল স্টেশনগুলির সংস্কার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর পাশাপাশি, দেশের প্রতিটি কোণে রেল নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণও করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, সরকার ২০২৪-২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে ২.৫২ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছে।
রেলপথ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে রেকর্ড: এদিকে, সম্প্রতি মুম্বাইতে আয়োজিত বিকাশ ভারত অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কিভাবে দেশের বৃহত্তম ট্রান্সপোর্টার হিসেবে রেলের উন্নয়ন ঘটছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রেল মন্ত্রক চলতি অর্থবর্ষে তার নেটওয়ার্কে ৫,৫০০ কিলোমিটার বা তার বেশি নতুন ট্র্যাক যুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এদিকে, গত বছর, রেলওয়ে প্রায় ৫,২০০ কিলোমিটার ট্র্যাক যুক্ত করেছে। যা সুইজারল্যান্ডের পুরো নেটওয়ার্কের সমান। এদিকে, গত ১০ বছরে ৩১,০০০ কিলোমিটার রেলপথ যুক্ত করা হয়েছে। যা জার্মানির পুরো নেটওয়ার্কের সমতুল্য।
জানিয়ে রাখি, রেল মন্ত্রক বিশ্বের বৃহত্তম সবুজ নেটওয়ার্ক হওয়ার জন্য ২০৩০-এর সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এজন্য রেললাইনের বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ করার জন্য দ্রুত কাজ করছে। গত এক দশকে ৪৪,০০০ কিলোমিটার রেল নেটওয়ার্কের বৈদ্যুতিকরণ হয়েছে। এদিকে, রেল সম্প্রতি অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে ১,০০০ টিরও বেশি রেলস্টেশনের পুনর্নির্মাণ করছে। ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা মাথায় রেখে এইসব স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: “এর থেকে Samsung-এর ফোন পাঠালে ভালো হত,” পাকিস্তানের চন্দ্রযানের ঝাপসা ছবি দেখে হাসির ঝড় নেটমাধ্যমে
সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের চলাচল: ভারতীয় রেল এখনও পর্যন্ত ৩ টি সেমি-হাই স্পিড ট্রেন চালু করেছে। সেগুলি হল তেজস, গতিমান এক্সপ্রেস এবং বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এর মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যাত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি দেশের প্রথম দেশীয় তৈরি সেমি-হাই স্পিড ট্রেন। এখনও পর্যন্ত, ১০০ টিরও বেশি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা প্রদান করছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩-২৪4-এ, বৈষ্ণব বন্দে ভারতের আরও দু’টি সংস্করণ লঞ্চের ঘোষণা করেছিলেন। সেগুলি হল বন্দে মেট্রো (স্বল্প দূরত্বের জন্য) এবং বন্দে স্লিপার (দীর্ঘ এবং সারারাত ব্যাপী যাত্রার জন্য)।
আরও পড়ুন: কোয়ালিফায়ারে KKR-এর “ভিলেন” হবে বৃষ্টি? ম্যাচ ভেস্তে গেলে কোন দল যাবে ফাইনালে? জেনে নিন নিয়ম
বুলেট ট্রেন: এদিকে, মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই স্পিড রেলের কাজ এখন ত্বরান্বিত করা হয়েছে। NHSRCL ২০২৬ সালের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রাথমিক করিডোরে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এছাড়া দেশের আরও ৭ টি হাইস্পিড রেল রুট চিহ্নিত করেছে রেল। এর পাশাপাশি রেল “নো ওয়েটিং লিস্ট” স্কিমের প্রস্তাব নিয়েও কাজ করছে। এই পদক্ষেপটি যাত্রীদের ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে। আইএএনএস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে ট্রেনে ওয়েটিং লিস্ট সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হবে। রিপোর্ট অনুসারে, বৈষ্ণব বলেছেন, “দেশের প্রায় ২.৫ কোটি মানুষ প্রতিদিন ট্রেনে ভ্রমণ করেন। যা অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার সমান।”