বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রায় হাজার জন যাত্রী ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিলেন লঞ্চে (launch) করে। সুগন্ধী নদীর মাঝে এগোতেই আগুন ধরে যায় সেই লঞ্চে। ব্যাস, ঘটে মহা বিপত্তি। মাঝ পথ থেকে নৌকাকে ফেরানোর কোন উপায় না পেয়ে তড়িঘড়ি লঞ্চটিকে দিয়াকুল গ্রামে নোঙর করা হয়। ঘটনায় এখনও অবধি অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
পদ্মাপারে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের (bangladesh) ঝালকাঠিতে যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা থেকে ‘এমভি-১০ অভিযান’ নামক একটি লঞ্চ বরগুনা যাচ্ছিল। সেখানে যাত্রী সংখ্যা ছিল প্রায় হাজার খানেক। সুগন্ধী নদীর মাঝে এগোতেই ওই লঞ্চে আগুন লেগে যায়। আর তৎক্ষণাৎ সেটিকে দিয়াকুল গ্রামে নোঙর করানো হয়।
লঞ্চে আগুন ধরে যেতে দেখেই বেশকিছু যাত্রী প্রাণ ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন। শুক্রবার ভোর ৫ টা অবধি দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন দিয়ে চলে আগুন নেভানোর কাজ। ঘন কুয়াশা থাকার কারণে মানুষজনকে উদ্ধার করতেও বেশ বেগ পেতে হয়। প্রাণ ভয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ায়, অনেক যাত্রীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খবর পাওয়া গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও অবধি অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন ৩২ জন। উদ্ধার করা হয়েছে ৪৮ জনকে। আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে ঠিক কিভাবে ওই লঞ্চে আগুন ধরে গেল, সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্ত থেকে ধারণা করা হয়েছে, লঞ্চের ইঞ্জিন থেকেই আগুন লেগে গিয়েছে। তবে এবিষয়ে তদন্ত জারি রয়েছে।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর