বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) দাবি করেন, অসম (Assam) জেহাদি কার্যকলাপের আঁতুর ঘর হয়ে উঠছে। রাজ্যের বাইরে থেকে বিভিন্ন ভাবে তরুণদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। উসকানি দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। এই রকম সংকটজনক অবস্থায় এবার অসমের গোয়ালপুর থেকে গ্রেফতার হল ৩৪ জনেরও বেশি অভিযুক্ত। জানা যাচ্ছে এদের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার (Al Qaeda) সরাসরি যোগ রয়েছে। এমনই দাবি আসাম পুলিশের।
অসমের ডিজিপি ভাস্কর জ্যোতি মহন্ত জানান, ‘৩৪ জনের বেশি আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই রকম ষড়যন্ত্র কোনও অবস্থাতেই হতে দেবে না অসম পুলিশ। বাংলাদেশিরা বেশ কিছু প্রশিক্ষণ শিবির খুলে ফেলেছিল রাজ্যে।’ পাশাপাশি ওই পুলিশ কর্তা জানান, অসমে নানা ধরনের মাদ্রাসা রয়েছে। বেশ কিছু নতুন গোষ্ঠীরও আমদানি হয়েছে। তারা সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। বাংলাদেশ ও আল কায়দার শাখা সংগঠনগুলি রাজ্যের যুবকদের উসকানি দিচ্ছে। তাদেরকে হিংসা ছড়ানোর কাজে লাগাচ্ছে।
মাত্র কয়েকদিন আগেই এই ধরনের অভিযোগ করতে দেখা যায় হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকেও। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে বাইরের লোক ঢুকে মাদ্রাসায় ছাত্রদের মগজধোলাই দিচ্ছে, জেহাদ করার জন্য উৎসাহিত করছে তাদের। তিনি বলেন, ‘বাইরের লোক ঢুকে মাদ্রাসাগুলিতে পড়ুয়াদের মগজধোলাই দেওয়ার কাজ করছে। যা রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়।’
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করেন, ‘জঙ্গি কার্যকলাপ আর জেহাদি কার্যকলাপের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে মগজধোলাই দেওয়া থেকে বিষয়টা শুরু হয়। এরপরে ইসলামী মৌলবাদের প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সব শেষে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া।’
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও জানান, ‘২০১৬-১৭ সালে যারা অবৈধ ভাবে রাজ্যে ঢুকেছে তারা কোভিডের সময় জনসংযোগের জন্য অনেক ক্যাম্প করেছে।’ প্রসঙ্গত মাসের শুরুতে এক অবৈধ মাদ্রাসা বুলডোজারের সাহায্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চক্রান্তের শিকড় যে মাটির গভীরে পৌঁছে গেছে তা জানা গেল একসঙ্গে এতজনের গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায়।