বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও ভিন্ন ধর্ম থেকে ‘ওয়াপসি’ হল হিন্দু ধর্মে। এবার উত্তর প্রদেশে (Uttar Pradesh)১০টি খ্রিস্টান পরিবারের মোট ৩৫ জন সদস্য হিন্দু ধর্মে ফিরে এলেন। ১৯৯৫ সালে ধর্মান্তর করে তাঁদের খ্রিস্টান করা হয়। জানা যায়, তাঁদের লোভ দেখিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছিল। ঘটনাটি এটা জেলার শকরৌলি থাকা এলাকায় ঘটেছে।
হিন্দু একতা সংগঠনের সদস্যরা এই ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন। ওই সংগঠনের সদস্যরা যখন ওই পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন তখন তাঁরা জানান অনেকেই রয়েছেন যাঁরা খ্রিস্টান থেকে সনাতন ধর্মে ফিরে আসতে চান। এরপরই সংগঠনের পক্ষ থেকে এলাকায় প্রচার শুরু হয়৷ সকলকে হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানানো হয়। এরপর গতকাল সোমবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সব মিলিয়ে মোট ৩৫ জন ব্যক্তি যজ্ঞে আহুতি দিয়ে স্বেচ্ছায় হিন্দু ধর্ম গ্রহন করেন।
হিন্দু একতা সংঘের সংস্থাপক শুভম জানান, ‘১৯৯৫ সালে এই মানুষগুলিরে লোভ দেখিয়ে ভুল বুঝিয়ে খ্রিস্টান বানানো হয়। এরপর হিন্দু দেবদেবীর ফটোকে সরিয়ে তাঁদের প্রত্যেক রবিবার চার্চে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা ধীরে ধীরে খ্রিস্টানদের মতোই জীবন যাপন করতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি অনেকেই খ্রিস্ট ধর্ম ত্যাগ করে সনাতন ধর্মে ফিরে আসতে চায়। আজ ৩৫ জন মানুষ আহুতি দিয়ে হিন্দুত্বকে গ্রহণ করেন।’
যজ্ঞের অনুষ্ঠান করছিলেন পন্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী। তিনি ওই ৩৫ ব্যক্তিকে আর হিন্দু ধর্ম না ছাড়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্ব পুরুষরা ধর্মের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের উচিত হিন্দু ধর্মকে সম্মান করা।’ এরপর সবাইকে গঙ্গাজলে শুদ্ধ করিয়ে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনেন। এর আগে ২৫ ডিসেম্বর বাগেশ্বর ধামের পীঠাধিশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী রামকথা শুনিয়ে ৩০০ মানুষকে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনেন।