মৃত ৩৫, গৃহহীন প্রায় ১০ হাজার, সিত্রাং-এর তাণ্ডবে বাংলাদেশ জুড়ে শুধুই হাহাকার!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ রাজ্যে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি ঘূর্ণিঝড়ের। কিন্তু সিত্রাংয়ের (Sitrang) তাণ্ডবে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ (Bangladesh)। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৫ জনের। একটানা বৃষ্টি সঙ্গে দোসর প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। যার জেরে উপড়ে যায় একাধিক বাড়িঘর। একাধিক জায়গায় উপড়ে পড়ে গাছপালাও। গাছ চাপা পড়েও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। বাংলাদেশের মধ্য ভাগেও পরিস্কার সিত্রাং-এর তাণ্ডবচিত্র। তবে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার ভোরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অভিমুখে বরাবর তীব্র বেগে এগিয়ে যায় ঘূর্ণিঝড়। তাণ্ডব চালাবার পর শক্তিক্ষয় করে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।  নিম্নচাপটি এই মুহুর্তে রয়েছে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে, শিলংয়ের কাছে। পশ্চিমবঙ্গে সিত্রাংয়ের বিশেষ প্রভাব না পড়লেও, বাংলাদেশের উপরে থাকা নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য- অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, অরুণাচল, ত্রিপুরায় আজও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কমপক্ষে ১০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার হেক্টরেরও বেশি চাষের জমি। মাছের চাষ হয়, এমন বহু জলাজমিও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের দাপটে হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে কমপক্ষে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাসান চরে ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাদের রিফিউজি ক্যাম্পও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কক্স বাজারেও একটি রিফিউজি ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের দাপট শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশ প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করে। সোমবার প্রায় ২ লক্ষ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ মনিরুজ়ামান জানান ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ৬৯২৫টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর