বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান সময় পড়াশোনা মানেই ইঁদুর দৌড়। নিত্যদিন সেই ইঁদুর দৌড়ে সামিল হচ্ছেন হাজার হাজার পড়ুয়া। এমনকি অভিভাবকদের তরফ থেকেও দেওয়া হচ্ছে ভীষণ চাপ। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই শুনতে হয় কড়া শাসন। তবে এরই মাঝে খবরের শিরোনামে উঠে এলো এক অন্যরকম পরিবারের গল্প। সেই গল্প জানলে চমকে উঠবেন আপনিও।
চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Pariksha) বসেছিল মুম্বাইয়ের থানের বাসিন্দা বিশাল কারাদ। লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে বসেই পরীক্ষা দিয়েছিল সে। তবে রেজাল্ট বেরোতেই দেখা যায় ৬ টি বিষয় মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে বিশাল। যদিও এর জন্য তাকে খেতে হয়নি বকাঝকা। বরং ছেলের রেজাল্ট দেখে আনন্দে মেতে উঠলেন বাবা-মা।
হ্যাঁ সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক ঘটনা। আর সেই ঘটনা অবাক করে দিয়েছে সকলকেই। আসলে পরীক্ষায় যে পাস করতে পারবে সেই আশা ছিল না বিশালের। তার পেছনে অবশ্য ছিল বেশ কয়েকটি কারণ। তবে মার্কশিট বেরোতেই দেখা যায় পাশ করেছে সে। আর এতেই আনন্দের আবহ তৈরি হয় পরিবারে।
মারাঠি মাধ্যমের একটি স্কুল থেকে পাশ করেছে বিশাল। বাবা অশোক কারাদ পেশায় রিক্সাচালক। ছেলের পরীক্ষার মাত্র এক বছর আগেই নিজেদের পুরনো বাড়ি ছেড়ে তাদের চলে আসতে হয় অন্য এক জায়গায়। উথালসারের শিবাইনগর থেকে আম্বেদকর নগরের বস্তিতে চলে আসেন বিশালের পরিবার। সেখান থেকে নিত্যদিন স্কুলে যাতায়াত মোটেই সহজ ছিল না। তবে বাবা-মায়ের উৎসাহের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল সে। মিলেও গেল সাফল্য।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে বিশাল জানায়, ‘আমি যে পাশ করতে পারবো সেটাই ভাবিনি। বাবা-মা প্রতিটা মুহূর্ত পাশে ছিল আর সে কারণেই আমি পরীক্ষায় পাশ করেছি’। বিশাল এর বাবা অশোক কারাদ বলেন, ‘ছেলে যে পরীক্ষায় পাশ করতে পেরেছে এতেই আমরা খুশি’।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। অনেকেরই মতে, ‘বাবা-মায়ের এই উৎসাহ আগামী দিনে শিশুদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। পরিবার পাশে থাকলে জীবনের নানান বাধা-বিপত্তি সহজেই পেরিয়ে যাওয়া যায়’।