বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর তিনদিন পরই ভোট। আর তাঁর আগে খোদ কেষ্টর গড়ে ব্যাপক ভাঙন ধরল শাসক দল তৃণমূলে। শাসক দল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন বীরভূমের দুবরাজপুরের দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর সহ ৩৫০ টি পরিবার। অনুব্রত মণ্ডলের দুর্গে তৃণমূলে এই ভাঙনে ভোটের আগে ব্যাপক চাপের মুখে ঘাসফুল শিবির।
মঙ্গলবার বীরভূমের দুবরাজপুরে একটি সভা ছিল বিজেপির। ওই সভাতে দুবরাজপুরের দুজন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর মুন্না তিওয়ারি এবং ভূতনাথ মণ্ডল গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তবে শুধু তৃণমূলের এই দুই কাউন্সিলরই নন। এদের সঙ্গে দুবরাজপুর পুরসভা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা যায় শাসকদল তৃণমূলে। দুবরাজপুরের বেশ কয়েকটি পুরসভা ওয়ার্ড থেকে ৩৫০টি পরিবার আজ বিজেপিতে যোগ দেয়।
আরেকদিকে মঙ্গলবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে ‘বিশ্বভারতী বন্ধ করে দেওয়া’র চক্রান্তের প্রতিবাদে গণ কনভেশনের আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে। সেখানেই বক্তব্য রাখার সময় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, ‘হাই কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও গেট বন্ধ করে দিচ্ছেন উপাচার্য। দিল্লি থেকে একজনকে এনে এখানে প্রার্থী করেছে, ভাবছেন একজন MLA হাতে থাকলে যা খুশী করতে পারবেন।’
অনুব্রত মন্ডল আরও বলেন, ‘পারবে না, ওর সেই ক্ষমতা নেই।” অনুব্রত মণ্ডল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে হুমকি দিয়ে বলেন, ‘ভোট পেরিয়ে গেলে এমন শিক্ষা দেব, তুমি সারাজীবন মনে রাখবে।” এমনকি এদিন তিনি উপাচার্যকে ফের পাগল বলেও কটাক্ষ করেন।