বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতের বুকে ধর্মান্তরের (Force Conversion) ইতিহাস বহু পুরনো। কোটি কোটি মানুষকে বিভিন্ন সময় কখনও লোভ দেখিয়ে, কখনও বা ভয় দেখিয়ে জোর করে তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার সেই সমস্ত পরিবারের বর্তমান প্রজন্মকে আবারও হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনার অভিযান চলছে জোর কদমে। গতকাল ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে ৩০০-রও বেশি মানুষ ফিরে এলেন সনাতন ধর্মে। ছত্তিসগড়েও ঘটল একই ঘটনা। প্রায় ৫০টি পরিবার ফিরে এল সনাতন ধর্মে।
মধ্যপ্রদেশের দমহো জেলায় কৃষ্ণা হাইটসে চলছিল রামকথার অনুষ্ঠান। সেখানে রাম কথা শোনাচ্ছিলেন বাগেশ্বর ধামের পিঠাধীশ্বর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন প্রায় ৩০০ মানুষ। তাঁদের সকলকেই আবার খ্রিস্টান ধর্ম থেকে হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনেন ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। প্রথমে তিনি উপস্থিত সকলকে জিজ্ঞাসা করেন কেউ তাঁদের হিন্দু ধর্মে ফিরে আসার জন্য জোর করেছে কিনা। তাঁরা একযোগে বলেন, স্বেচ্ছাতেই তাঁরা ফিরতে চান সনাতন ধর্মে। এরপর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেন, ‘কোনও কিছুর জন্যই নিজের ধর্ম পরিত্যাগ করবেন না। আমাদের পূর্বপুরুষরা ধর্মকে রক্ষার জন্য নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন।’
এরপর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন ধর্ম পরিবর্তনের জন্য কী কী লোভ দেখানো হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে জীতেন্দ্র নামে এক যুবক বলেন, ‘আমার বাবাকে লোভ দেখানো হয় তাঁর ছেলের পায়ের চিকিৎসা হয়ে যাবে বিনামূল্যে। কিন্তু ওষুধের একটা টাকাও আমরা পাইনি। উল্টে আমাদের বলা হয়, বাড়িতে যদি কেউ মারাও যায় তাও রবিবার চার্চে আসতেই হবে।’ জীতেন্দ্র আরও জানান, হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অনেক খারাপ কথা তাঁকে শুনতে হয়েছে। কিন্তু সেই সময় তাঁর কিছুই করার ছিল না। ওই অনুষ্টানে উপস্থিত আরও এক যুবক বলেন, গাড়ির কিস্তি মেটাবার নামে তাঁকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়া চিকিৎসার জন্য আরও ৬০০০০ টাকা দিয়ে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করানো হয়।
অপরদিকে পহেলগাঁও-এর জশপুরে প্রায় ৫০ পরিবারকে ফেরানো হল হিন্দু ধর্মে। এদিন অখিল ভারত ঘরওয়াপসি সংগঠনের প্রধান সূর্য প্রবল প্রতাপ জুদেব বিশাল হিন্দু সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে ‘জয় শ্রী রাম ‘ ধ্বনি তুলে সনাতন ধর্মে ফিরে এলেন ৫০ পরিবারের ১০০-রও বেশি মানুষ।