৩৬ ইঞ্চি বর, ৩৪ ইঞ্চি কনে! এই বিয়েতে নিমন্ত্রণ ছাড়াই হাজির হলেন হাজার হাজার মানুষ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কথায় আছে জন্ম-মৃত্যু এবং বিয়ে জীবনের এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকে পূর্ব নির্ধারিত। পাশাপাশি, প্রতিটি মানুষের কাছেই বিয়ে এমন একটি ঘটনা যার মাধ্যমে তাঁরা জীবনের নতুন এক যাত্রা শুরু করেন। যেই কারণে, বিয়ের অনুষ্ঠানগুলিও হয় আনন্দমুখর। তবে, এরই মধ্যে কিছু কিছু বিবাহের অনুষ্ঠান এমন বিরল হয়ে যে সেগুলি খুব সহজেই দাগ কেটে যায় মানুষের মনে।

অর্থাৎ, আর পাঁচটি সাধারণ বিবাহের অনুষ্ঠানের মত হয়না সেগুলি। সম্প্রতি সেইরকমই এক অভিনব বিবাহের প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। যেটি প্রকাশ্যে আসার পর অবাক হয়েছেন সকলেই। পাশাপাশি, নবদম্পতিকে আশীর্বাদ এবং শুভকামনাতেও ভরিয়ে দিচ্ছেন সবাই।

   

মূলত, আমাদের পড়শি রাজ্য বিহারের ভাগলপুরে এমনই এক বিয়ে সবার নজর কেড়েছে। পাশাপাশি, এই অনন্য বিয়েতে হাজার হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, সেখানে উপস্থিত সকলেই বর-কনের সাথে ছবিও তোলেন।

কেন অনন্য ছিল এই বিবাহের অনুষ্ঠান:
আসলে এই বিবাহের অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় হয়ে থাকার কারণ হল, সেখানে বর এবং কনের উচ্চতা ছিল যথাক্রমে ৩৬ ইঞ্চি এবং ৩৪ ইঞ্চি। জানা গিয়েছে যে, ২৪ বছর বয়সী কনে মমতা নবগাছিয়ার অভিয়া বাজারের কিশোরী মণ্ডল ওরফে গুজো মণ্ডলের মেয়ে। তাঁর বিয়ে হয় মাসারুর বাসিন্দা বিন্দেশ্বরী মণ্ডলের ছেলে মুন্নার সাথে। পাশাপাশি, মুন্নার বয়স হল ২৬ বছর।

যদিও, বর-কনে দু’জনেই ভাগলপুর জেলার বাসিন্দা। এদিকে, মুন্না এবং মমতার বিবাহের আসরে তাঁদের দেখতে এবং এই শুভ মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

WhatsApp Image 2022 05 04 at 5.03.25 PM

শুধু তাই নয়, ওই দু’জনের বিবাহের সময়ে ডিজেতে বাজানো হয় বলিউডের জনপ্রিয় “রব নে বানা দি জোড়ি” গানটিও। যেখানে এই গানটির তালে তালে নাচতে থাকেন উপস্থিত সবাই। মূলত, এই বিয়েতে কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ কার্যত নিমন্ত্রণ ছাড়াই উপস্থিত ছিলেন। এমনকি, বর-কনের জয়মালার সময়ে সেখানে উপস্থিত সকলের মঞ্চে পৌঁছনোর প্রক্রিয়া এমনভাবে শুরু হয়েছিল যে সেটি দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে। এক কথায়, সমগ্ৰ এলাকাতেই মুন্না এবং মমতার এই বিয়ে কার্যত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর