বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) সদ্য নাম জড়িয়েছে গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Haimanti Ganguly)। দুদিন থেকে সেই নিয়েই তোলপাড় বঙ্গে। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে। ‘মডেল’ হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে মিলল তিন টেট চাকরিপ্রার্থীর (TET Candidate List) নাম। যাদের ইতিমধ্যেই চাকরি হয়ে গিয়েছে।
শনিবার অভিনেত্রীর বেহালার ফ্ল্যাটের সিঁড়ি থেকে পাওয়া কাগজে চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর ঘিরে ধুন্ধুমার। সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছে সেই তালিকা। আর সেই তালিকা সামনে আসতেই আন্দোলনকারী টেট প্রার্থীদের একাংশের দাবি, অনিয়ম করে সুপারিশের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে এই তিন প্রার্থী। শনিবার সকাল থেকে এমন খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়েছে রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ধৃত কুন্তলের মাধ্যমে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম সামনে আসতেই তার খোঁজ শুরু হয়ে যায়। এরই মধ্যে হৈমন্তীড় বেহালার বাড়ির সিঁড়ি থেকে পাওয়া একাধিক কাগজের মধ্যে উল্লেখ ছিল বেশ কিছু রোল নম্বর। তখনই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়। বোঝা যায় সেসব চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। এরপরেই খবর নিয়ে জানা যায়, এই রোল নম্বরগুলি ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের। বিস্ফোরক এই তথ্য সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলরত চাকরিপ্রার্থীরা।
আন্দোলরত প্রার্থীদের মধ্যেই একজন বলেন, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিল এমন তিনজনের নামও রয়েছে সেই তালিকায়। ওই তিন প্রার্থীর নাম মেরিট লিস্টে থাকায় ২০২০ সালে পর্ষদের নিয়োগ তালিকা থেকে এই তিনজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। পাশাপাশি তার দাবি গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মাধ্যমে সুপারিশ পেয়েই টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে ওই তিন প্রার্থীর।
আপনাদের আরও জানিয়ে রাখি, ২০১৪ সালে টেট দেওয়া ওই তিন প্রার্থীর নাম গুঞ্জা সরকার, প্রলয় কুমার গায়েন এবং সুশেন্দু হালদার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই তিন প্রার্থীর নামের তালিকাই মিলেছে হৈমন্তীর বেহালার ফ্ল্যাটের সিঁড়ি থেকে। যদিও সেই তালিকার সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট টিম। এদিন প্রমান সামনে এনে এই তিন প্রার্থীড় বিরুদ্ধেই ফুঁসে ওঠেন আন্দোলরত চাকরিপ্রার্থীরা।