বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদের (Terrorism) বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করল জম্মু-কাশ্মীর সরকার। কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী বিট্টা ক্যারাটের (Bitta Karate) স্ত্রী সহ আরও চার জনকে সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত করল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার। ভারতীয় সংবিধানের (Indian Constitution) ৩১১ নং ধারায় তাদের চাকরি থেকে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কাশ্মীর উপত্যকায় বিট্টা ক্যারাটে বিভীষিকার অপর নাম। ৯০-এর দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর যে ভয়ংকর অত্যাচার হয়েছিল তার নেতৃত্ব দেয় এই বিট্টা ক্যারাটে এবং ইয়াসিন মালিক। জানা যাচ্ছে জম্মুর লেফ্টেন্যান্ট মনোজ সিনহার নির্দেশে এই বিট্টা ক্যারাটের স্ত্রী আসবা আর্জুমন্দ খানকে বরখাস্ত করেছে সরকার।
আসবা আর্জুমন্দ খান ২০১১ ব্যাচের কেএএস আধিকারিক ছিলেন। গ্রামীন বিকাশ বিভাগের সিনিয়র আধিকারিক পদে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী এবং এক সহায়ক প্রফেসরকেও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জেকেইডিআই বিভাগে কর্মরত আব্দুল মুইদকেও নির্বাসন দিয়েছে জম্মু কাশ্মীর সরকার। জানা যাচ্ছে, এই আব্দুল মুইদ হিজবুল মুজাহিদীনের নেতা সৈয়দ সালাহুদ্দীনের ছেলে। জানা যাচ্ছে আব্দুল নিজেও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
কে এই বিট্টা ক্যারাটে? বিট্টা ক্যারাটের আসল নাম ফারুক আহমেদ দার। তার ডাক নাম ছিল বিট্টা। ক্যারাটেতে পারদর্শী হওয়ায় সে পরিচিত লাভ করে বিট্টা ক্যারাটে নামেই। সে ইয়াসিন মালিকের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেকেএলএফ-র সদস্য ছিল। ৯০ -এর দশকে সতীশ টিক্কু সহ একাধিক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে হত্যা করে বিট্টা। ১৯৯১ সালে একটি টিভি চ্যানেলে সে স্বীকারও করে যে সে প্রায় ২৫ জন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে খুন করেছে। পরে যদি সে একথা অস্বীকার করে।
২০১৯ সালে বিট্টাকে এনআইএ গ্রেফতার করে। এর আগে ১৯৯০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত হত্যা এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য ১৬ বছর জেলও খাটে। সম্প্রতি বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্যা কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমায় বিট্টার চরিত্র তুলে ধরা হয়। যদিও সিনেমায় দেখানো চরিত্রের থেকে বাস্তবের বিট্টা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও নিষ্ঠুর ছিল বলে দাবি করা হয়।