বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ভারতে ক্রিকেট শুধুমাত্র একটা খেলা নয়। ২২ গজের এই বিচিত্র খেলাটি যেন এই দেশে এক ধর্মের সমান। তাই ভারতীয় দলেও একাধিক এমন ক্রিকেটারকে খেলতে দেখা যায় যারা পরিস্থিতি বিশেষে নিজেদের পরিবারের চেয়ে ভারতীয় দলকে দিয়েছেন বেশি গুরুত্ব। এইজন্য তারা আজও ভারতীয় ভক্তদের মধ্যে অত্যন্ত সমাদৃত। একে একে দেখে নেওয়া যাক এই চারজনের কাহিনী।
৪. বিরাট কোহলি: যে সময়ের ঘটনা আপনাদের শোনাতে চলেছি সেই সময় বিরাট ভারতীয় দলের অধিনায়ক তো দূরের কথা ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ারই ধারে কাছে আসেননি। আজ থেকে ১৬ বছর আগে দিল্লি বনাম কর্ণাটক ম্যাচ চলাকালীন ১৭ বছর বয়সী বিরাট কোহলি সংবাদ পেয়েছিলেন যে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে। এরপরও বাবার শেষকৃত্য সেরে এসে ক্লান্ত শরীর ও মন নিয়েই ৯০ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
৩. সচিন টেন্ডুলকার: ১৯৯৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতীয় কিংবদন্তি সচিন টেন্ডুলকার সংবাদ পেয়েছিলেন যে তার পিতা পরলোক গমন করেছেন। টুর্নামেন্টের মাঝ পথে মুম্বাই ফিরে সে তিনি বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। এরপর শোকাক্রান্ত মন নিয়েই তিনি ফের ভারতীয় শিবিরে যোগদান এবং কেনিয়ার বিরুদ্ধে একটি অসাধারণ শতরান করেন।
২. মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: ২০১৫ সালে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ চলাকালীন কন্যা সন্তানের পিতা হয়েছিলেন। ওই সিরিজ শেষ হওয়ার পরেই আরম্ভ হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপ। মাঝের সময়টুকুতে দ্রুত দেশে ফিরে নিজের কন্যাকে দেখে যাওয়ার সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে ওডিআই বিশ্বকাপ শেষ না হলে দেশে ফিরবেন না তিনি কারণ তাতে ক্লান্তির ঝুঁকি থেকে যায়। নিজের সম্পূর্ণ নিখুঁত অবস্থায় বিশ্বকাপে ভারতীয় জার্সিতে মাঠে নামতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল।
১. সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়: ২০০১ সালের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় যখন তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান সানা গাঙ্গুলীর জন্ম দেন তখন কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন না সৌরভ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে তিনি ছিলেন বিশ্বের অপর প্রান্তে। সৌরভের এই সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করেছিলেন তার স্ত্রী। দলের প্রতি মহারাজের দায়বদ্ধতা মুক্ত করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকদের।