বাংলাহান্ট ডেস্ক: কাশ্মীর-সহ ভারতে (India) একাধিক হামলায় অভিযুক্ত চার জঙ্গিকে (Terrorists) গুলি করে মারা হল পাকিস্তান (Pakistan) ও আফগানিস্তানে (Afghanistan)। শনিবার পাকিস্তানের খাইবার পখতুনওয়া অঞ্চলে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হয়েছে সৈয়দ নুর শালোবার নামক এক জঙ্গি। তার বিরুদ্ধে কাশ্মীরে একাধিক নাশকতা হামলার অভিযোগ ছিল। এর আগে সৈয়দ খালিদ রাজা, এজাজ আহমেদ আহনগর এবং বশির আহমেদ নামক আরও তিন জঙ্গিকেও হত্যা করা হয়।
নিহত ৪ জঙ্গিই ভারতে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। এদের মধ্যে ৩ জনকে পাকিস্তানে ও ১ জনকে আফগানিস্তানে খুন করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত সৈয়দ নুর সালোবার পাকিস্তান সেনা ও আইএসআইয়ের সঙ্গে কাজ করছিল। কাশ্মীরে নাশকতামূলক কারবার বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছিল সে। বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে নতুন সন্ত্রাসবাদী নিয়োগের দায়িত্ব ছিল তার উপর। গত ৪ তারিখ খাইবার পখতুনওয়া অঞ্চলে অগাতপরিচয় আততায়ীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তার।
चौथा आतंकवादी भी मारा गया,
भारत का वांटेड आतंकी नूर शलोबार की दिनदहाड़े अज्ञात हमलावरों ने गोली मारकर हत्या कर दिया। https://t.co/5iszP0aPFE— NCIB Headquarters (@NCIBHQ) March 5, 2023
একইসঙ্গে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ খালিদ রাজা নামক এক জঙ্গিকেও হত্যা করা হয়। রাজা আল-বদরের কমান্ডার ছিল সে। জানা গিয়েছে, কিচুদিনের জন্য করাচিতে বসবাস করছিল রাজা। সেখানে তাকে বেসরকারি স্কুলের ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়। নিজের বাড়ির বাইরেই তাকে গুলি করে হত্যা করে আততায়ীরা। এর কিছুদিন আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এজাজ আহমেদ আহনগরকেও মারা হয়। জানা গিয়েছে, সে ইসমালিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত ছিল।
ভারতে আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য আততায়ীদের প্রশিক্ষণ দিত সে। আহনগর আবু ওসমান আল-কাশ্মীরি নামেও পরিচিত ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগানিস্তানের কুনার অঞ্চলে তালিবানের হাতে মৃত্যু হয়েছে তার। পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডিতে গত ২১ ফেব্রুয়ারি খুন হয় হিজবুল মুজাহিদিনের এক শীর্ষ কমান্ডার বশির আহমেদ পীর। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়ির কাছের এক মসজিদে নমাজ পড়তে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে বেরোনোর পর দু’জন আততায়ী বাইকে করে আসে। তারপর বশিরকে গুলি করে সেখান থেকে চলে যায়।
ভারতে নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য তাকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছিল। কাশ্মীর থেকে জঙ্গিদলে যোগ দেওয়া যুবকদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করত সে। এছাড়াও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী লঞ্চপ্যাড থেকে জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করত সে। গত ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানেই বসবাস করছিল বশির। আল-বদরের জঙ্গি খালিদকে হত্যার দায়স্বীকার করেছে সিন্ধুদেশ রেভোলুশনরি আর্মি। আহনগর তালিবানের হাতে নিহত হয়েছে। তবে বাকি দু’জনকে কে খুন করেছে তা এখনও জানা যায়নি।