বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যু মামলার তদন্ত এখন করছে সিবিআই (cbi)। রিয়া চক্রবর্তী সহ অভিনেতার ঘনিষ্ঠ সব ব্যক্তিদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দফায় দফায় জেরা চলছে সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত ও রাঁধুনি নীরজকে। এই তিন জন এবং রাঁধুনি কেশব সর্ব প্রথম সুশান্তকে মৃত অবস্থায় দেখেন।
১৪ জুন সুশান্তকে মৃত অবস্থায় পাওয়ার আগে পর্যন্ত কি কি ঘটেছে তা জানতে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ। চারজনই একটি কথা জানিয়েছেন যে, ১৩ জুন রাতে বেশির ভাগ সময়টা নিজের ঘরেই ছিলেন সুশান্ত।
অভিনেতার পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত বলেন, ১৩ জুন রাতে নিজের ঘর থেকে বেরোনইনি সুশান্ত। খাবারের বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি জানান তিনি কিছু খাবেন না। শুধুমাত্র এক গ্লাস ম্যাঙ্গো শেক চেয়েছিলেন বলে জানান দীপেশ।
তিনি নিজে সেদিন রাত সাড়ে দশটা নাগাদ খেয়ে একটা সিনেমা দেখতে বসেন। সেই সময় ফের সুশান্ত কিছু খাবেন কিনা তা জানতে ফোন করেন তিনি। কিন্তু ফোন ধরেননি অভিনেতা। তিনি ঘুমিয়ে পড়েছেন ভেবে আর বিরক্ত করেননি দীপেশ। ১৪ জুন সকাল সাড়ে পাঁচটায় দীপেশই প্রথম উঠে সুশান্তের ঘরে যান বলে জানান। অভিনেতা নাকি আগেই উঠে ঘরের দরজা খুলে বসেছিলেন। চায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে বারন করে দেন সুশান্ত। তাঁর আচরনে কোনোরকম অস্বাভাবিকতা দেখেননি বলেও জানান দীপেশ।
রাঁধুনি নীরজ ও কেশবের বক্তব্য ১৪ জুন সকাল ৭টা নাগাদ তাদের ঘুম ভাঙে। ৮টা নাগাদ সুশান্ত এসে এক গ্লাস ঠান্ডা জল চান। এরপর ৯টা নাগাদ বেদানার রস ও ডাবের জল নিয়ে কেশব সুশান্তের ঘরে যান। সেটাই নাকি তাঁর সঙ্গে শেষ দেখা ছিল সুশান্তের।
এরপর দুপুরের খাবারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে কেশব দেখেন সুশান্তের ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এমন আগে কখনো হয়নি বলেও জানান তিনি। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সিদ্ধার্থ পিঠানি তাদের জানান, সুশান্ত ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে রয়েছেন। তখন তারা ভেবেছিলেন রাতে জাগার জন্যই সম্ভবত এমনটা করেছেন অভিনেতা।
সিদ্ধার্থ পিঠানি জানান, সুশান্তের দিদি মীতু ফোনে অভিনেতার ঘরের দরজা ভাঙতে বলেন তাদের। সকাল ১১টা নাগাদ সুশান্তের ঘরের ডুপ্লিকেট চাবির খোঁজে হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকেও ফোন করা হয়। এরপর গুগল থেকে খুঁজে ডুপ্লিকেট চাবি বানানোর লোক ডেকে আনা হয়।
তিনি দু হাজার টাকা নেন। লক খুলে যাওয়ায় টাকা দিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়ে সিদ্ধার্থ পিঠানি ও দীপেশ প্রথম সুশান্তের ঘরে ঢুকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এরপ্য প্রথম ফোন করা হয় অভিনেতার দিদি মীতুকে ও তারপর চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্সকে। কিন্তু মৃত ব্যক্তি যে সুশান্ত সিং রাজপুত তা তখনও জানানো হয়নি। চারজন এটাও বলেন যে সুশান্তের বড় জামাইবাবু তাদের পরীক্ষা করতে বলেন যে শ্বাস পড়ছে কিনা। কিন্তু তারা জানান যে দেহ নিথর হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক এসেও তাই জানান।