বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ এবার বড় নির্দেশ দিলো আদালত। অর্থের বিনিময়ে চাকরি নেওয়া ৪ শিক্ষককে এবার জেলে পাঠানোর নির্দেশ এসে গেল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) এই প্রথম এমন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন বিচারক। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ ঘিরে প্রবল জল্পনা আরম্ভ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
প্রসঙ্গত এই আদালতের সিদ্ধান্তে গ্রেফতার হওয়া প্রত্যেক শিক্ষকই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের অধিবাসী, যা নিয়ে আলাদা করে প্রশ্ন উঠেছে সকলের মনে। আপাতত তাদের ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল। এখানে বলে রাখা উচিত যে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের পর ঘুষ খাইয়ে চাকরি জোগাড় করার এই যে অভিযোগ ছিল তা সিবিআই এর কাছে স্বীকার করে নিয়েছিলেন ওই অযোগ্য শিক্ষকদের প্রত্যেকেই।
৭ই আগস্ট, সোমবার, আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে তাদের হাজিরা দিতে হয়েছিল। তারা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর সাক্ষী। এরপর বিচারপতি সিবিআই আধিকারিকদেরও ভর্ৎসনাও করেন। ওই চার শিক্ষকের আইনজীবীদেরও ধমক দিয়ে বিচারক জানান যে কোনও ভাবেই তাদের জামিন দেওয়া সম্ভব নয় কারণ তারাও সমান অপরাধে অপরাধী।
আদালত সিবিআইকেও ধমক দিয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন যে পার্থ বা কুন্তল নিজেরা কারোর কাছে টাকা চাইতে যায়নি বরং এই ব্যক্তি টায় তাদের কাছে গিয়ে লোভে পড়ে টাকা দিয়ে পরবর্তীতে আরও বড় সুবিধা ভোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই এদেরকে সিবিআইয়ের সাক্ষী বলায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বিচারপতি।
নগর দায়রা আদালতের রায়ের ভিত্তিতে আপাতত গারদের আড়ালে থাকা এই চার শিক্ষকের নাম হল সাইগল হোসেন, জাইরাদ্দিন শেখ, সৌগত মন্ডল এবং সিমর হোসেন। সিবিআই-এর কাছে তারা বয়ান দিয়েছিলেন যে তাপস মন্ডলের মাধ্যমে টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তারা। নিজেরা অযোগ্য জানা সত্ত্বেও তাদের এই পদক্ষেপের কারণে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছে।