বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার সঙ্কটের মধ্যে দেশে হোলির উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে হোলি উৎসব বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু এবার হোলির উৎসবের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেখানকার প্রশাসন এলাকার প্রায় ৪০টি মসজিদকে প্ল্যাস্টিক দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। হোলির দিন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেই কারণে এই প্রস্তুতি নিয়েছে যোগীর প্রশাসন।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরের হোলি সবসময় চর্চায় বিষয়বস্তু হয়ে থাকে। সেখানে হোলির উৎসবের দিন একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়, ওই শোভাযাত্রায় ইংরেজ সরকারের অফিসারের একটি পুতুলকে গরুর গাড়িতে বসিয়ে তাঁর উপর ফুল ছোঁড়া হয়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই জুলুস নিয়ে প্রশাসন এবার বিশেষ প্রস্তুতি শুরু করেছে। জুলুসের রাস্তায় যেখানে যেখানে মসজিদ আছে, সেখানকার সুরক্ষা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
DM & SP #shahjahanpurpol द्वारा कोतवाली/RCM थानाक्षेत्र में पुलिस/प्रशासनिक अधि0/SPO/संभ्रांत व्यक्तियों के साथ होली पर निकले वाले छोटे/बड़े लाट साहब के जुलूस का रूट निरीक्षण/रिहर्सल कर व्यवस्थाएं देखी व ड्यूटी पर तैनात पुलिसकर्मियों को आवश्यक निर्देश दिये। @CMOfficeUP #UPPolice pic.twitter.com/crYp3hVFip
— SHAHJAHANPUR POLICE (@shahjahanpurpol) March 24, 2021
শাহজাহানপুরের SP সঞ্জয় কুমারের মতে, ওই শোভাযাত্রার রাস্তায় থাকা সমস্ত মসজিদ গুলোকে প্ল্যাস্টিক দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে। সেগুলোতে যাতে কেউ রং না ছুঁড়তে পারে, সেই কারণে এই কাজ করা হয়েছে। SP জানান, কয়েকটি মসজিদকে ঢাকার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, আর বাকি গুলোকে ২৮ মার্চের মধ্যে ঢেকে ফেলা হবে। SP জানান, শোভাযাত্রার রুটের আলাদা আলাদা জায়গায় ব্যারিকেডিং করা হয়েছে, আর কয়েকটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। রুটে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে আর ড্রোন দিয়েও নজরদারি চলবে।
আপনাদের বলে দিই, শাহজাহানপুরে ১৮ শতাব্দী থেকে এক বিশেষ প্রকারের হোলি উৎসব পালিত হয়ে আসছে। সেই সময় ইংরেজ শাসকদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য স্থানীয়রা এই বিশেষ হোলির উৎসব পালন করত। ১৯৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীন হয়, তখনও এই ঐতিহ্য বজায় ছিল। এই শোভাযাত্রায় ইংরেজ শাসক লাট সাহেব আর ছোট লাট সাহেবকে গরুর গাড়িতে চড়িয়ে ঘোরানো হয়।