বাংলা হান্ট ডেস্ক : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (panchayet election)। আর তার আগেই বড়সড় ভাঙন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলে। পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৪০০-র বেশি গ্রামের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন সিপিআইএমে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardighi Byelection) পরই শাসকদলের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তুফানগঞ্জের বালাভূত।
এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই বালাভূতের সংখ্যালঘুদের একটা বড় অংশ ঘাসফুল ছেড়ে ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে তৃণমূল শিবিরে। আজ রবিবার সিপিএমের একটি কর্মী সভার মধ্য দিয়ে বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম নেতা গোলাম সোবানের হাত ধরে বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের এক পঞ্চায়েত সদস্য মিজানুর রহমান সমেত মোট ৪০০ জন পরিবার ঘাসফুল ছেড়ে সিপিএমের যোগদান করে বলে দাবি সিপিএমের।
অবশ্য, যোগদানের এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি স্থানীয় ব্লক সভাপতি প্রদীপ বসাকের। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য মিজানুর রহমান এদিন জানান, ‘আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমি ও গ্রামের মোট ৪০০ জন এদিন তৃণমূল ছেড়ে সিপিএম-এ যোগদান করেছি। বালাভূতের মোট ১৬ টা পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থী দেবে। পঞ্চায়েতে আমরাই জয়ী হব।’
এর জবাবে তুফানগঞ্জ ১ ( বি ) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদীপ বসাক দাবি করেন, ‘যোগদানের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সিপিএম এমন কোনও কর্মকাণ্ড করেনি যাতে মানুষ সিপিএমের প্রতি ঝুঁকবে। আসলে মিজানুর রহমানকে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তবে এই প্রথম নয়। এর কয়েকদিন আগেই শাসকদলের পতাকা ছেড়ে সিপিএমের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন প্রায় ৩০০ জন। তাঁর মধ্যে যেমন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন, তেমনই রয়েছেন কর্মীরাও। এমনই উলটপুরাণ দেখা যায় তেহট্ট থানার শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। শ্যামনগরে একটি পথসভায় তাঁদের হাতে কাস্তে হাতুড়ি তারা আঁকা পতাকা তুলে দেন তেহট্টের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা রঞ্জিত মণ্ডল এবং এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস। অবশ্য এই দলবদলের কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।