বাংলা হান্ট ডেস্ক : চার বছরে ৪২টি মামলা, চার্জশিট দাখিল হয়েছে ৪১টি! সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) অতীত ঘেঁটে এমন সব তথ্য সামনে এল যা সত্যিই চমকে দেওয়ার মত। এতকিছুর পরেও পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরছিল শাহজাহান। এতকিছুর পরেও শাহজাহানকে গ্রেফতার তো করা হয়েইনি উল্টে অভিযোগকারীদেরই নিগৃহীত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ।
হাই কোর্টের আইনজীবীদের দাবি, এই ৪২টি মামলার মধ্যে জামিন অযোগ্য ধারার মামলাও আছে। অথচ এইসবই অদেখা করে এসেছে পুলিশ। কত মামলা তো এমনও আছে যেখানে কৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে শাহজাহানের নাম। এতকিছুর পরেও খোলা বাঘের মত কীভাবে ঘুরছেন তিনি? তবে কি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার বদলে উল্টে নিরাপত্তা দিচ্ছিল? উঠছে প্রশ্ন।
সন্দেশখালির আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতেই তাতে মাথা ঘামানো শুরু করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শাহজাহানকে এতদিন কেন গ্রেফতার করা হয়নি এই বিষয়ে বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমানকে প্রশ্ন করা হলে সেখান থেকেও মেলেনি কোনও উত্তর। যদিও এইদিন হাইকোর্টের রায় আসার পর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হবেন শাহজাহান।
আরও পড়ুন : ‘৩৬ মানে থার্টিফোর’ অতীত! নুসরতের নয়া বচন ‘১৭৪ ধারা’! সন্দেশখালি ইস্যুতে বিপাকে অভিনেত্রী
উল্লেখ্য, শাহজাহানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের তল খুঁজতে গিয়ে সামনে আসে সন্দেশখালির অসীমা দাস, নয়ন সর্দারদের নাম। তাদের উপর হওয়া অত্যাচারের কথা বলতে গিয়ে তারা বলেন, ‘হাই কোর্ট অবধি ভাবতে পারি না আমরা। আমাদের সব কিছুর বিচার এত দিন শাহজাহান করে এসেছে। ওর রক্তচক্ষুর রোষে কত মানুষ যে নিঃস্ব হয়েছে, তা শুধু এখানকার বাসিন্দারাই জানেন।’
আরও পড়ুন : থামছে না দুর্যোগ, সপ্তাহান্তে ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস! ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, সতর্ক করল IMD
এখানেই কি শেষ? সন্দেশখালির বাসিন্দা পদ্মা শোনালেন তার স্বামী হত্যার কথা। ২০১৯ সালের ৮ জুন ন্যাজোট থানার ভাঙ্গিপাড়াতে খুন হয়েছিলেন প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডলেরা। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। পরে সেই মামলার চার্জশিট থেকে নাকি শাহজাহানের নামটাই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। সুন্দরীখালি গ্রামের বাসিন্দা অরুণ লস্কর শোনালেন তার সম্পত্তি দখলের কথা। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেবারও প্রতিবাদ করায় জুটেছিল মারধর। এমনকি তাদের গুলিতে একজন আহতও হন বলে জানান তিনি। এত অত্যাচারের প্রতিকার কি হবে? প্রশ্ন খুঁজছে সন্দেশখালির আম জনতা।