বাংলাহান্ট ডেস্ক: চীনা স্মার্টফোন তৈরি সংস্থাগুলিকে নিয়ে সমস্যা ক্রমাগত বাড়ছে। প্রাপ্ত উপার্জন লুকিয়ে, লোকসান দেখিয়ে এবং কর ফাঁকি দিয়ে নীরবে তাদের অর্থ চীনে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই, চীনা কোম্পানি Oppo India সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) কোম্পানিটির বিরুদ্ধে 4,389 কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কোম্পানিটি ভুলভাবে বিপথে ছাড় নিয়েছে বলেই অভিযোগ। এ বিষয়ে গত ৮ জুলাই চীনা কোম্পানিকে শোকজ নোটিশ জারি করে ডিআরআই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Oppo India মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং আনুষাঙ্গিক উৎপাদন, একত্রিতকরণ, পাইকারি ব্যবসা এবং বিতরণের ব্যবসা করে ভারতে। কোম্পানির Oppo, OnePlus এবং Realme সহ অনেক মোবাইল ব্র্যান্ডও বাজারে রমরমিয়ে চলছে।Oppo India হল চীনা কোম্পানি Guangdong Oppo Mobile Telecommunications Corporation Ltd এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তদন্তের সময় কোম্পানির চত্বরে এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় এমন অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে, যাতে দেখা যায়, মোবাইল ফোন তৈরির জন্য বাইরে থেকে আমদানি করা পণ্যের ভুল তথ্য দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে ২৯৮১ কোটি টাকা অন্যায়ভাবে দুর্নীতি করেছে কোম্পানিটি।
কী অভিযোগ রয়েছে? বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিকে তারা ভুলভাবে রয়্যালটি ও লাইসেন্স ফি দিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি কাস্টমস অ্যাক্ট, 1962 এর 14 ধারার সরাসরি লঙ্ঘন বলেও জানা গিয়েছে। প্রায় 1408 কোটি টাকা শুল্ক পরিশোধ করেনি কোম্পানিটি। সংস্থাটি স্বেচ্ছায় শুল্ক হিসাবে 450 কোটি টাকা পরিশোধ করেছিল। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে, কোম্পানিকে 4389 কোটি টাকার শুল্ক প্রদানের কারণ দেখানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
Oppo ছাড়াও অন্যান্য চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি Xiaomi, Vivo এবং Huawei-এর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। চীনা কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে তাদের আয়ের তথ্য আটকে রাখার, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য লাভের রিপোর্ট না করার এবং দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য ভারতীয় বাজারে তাদের প্রভাব ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি যন্ত্রাংশ গ্রহণ ও পণ্য বিতরণে স্বচ্ছতা না থাকার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সরকার সম্ভাব্য সব বিষয় খতিয়ে দেখছে। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।