বাংলাহান্ট ডেস্ক : ঘর ভাঙল শুভেন্দুর। তাঁর নিজের গড়েই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরলেন ৫ দলবদলু কাউন্সিলর। যার জেরে কাঁথি পুরসভায় গেরুয়া ধ্বজা ওড়ানো এবার বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ালো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন একদা মমতার বিশ্বস্ত শুভেন্দু অধিকারী। তার পর পরই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কাঁথির ১৬ জন কাউন্সিলরও যোগ দেন বিজেপিতে। এই ১৬ জন দলবদলু কাউন্সিলরের মধ্যে ৫ জনই ‘ঘরে’ ফিরলেন আবার। মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিক।
উত্তম বারিক বলেন, ‘যে সমস্ত কাউন্সিলররা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। এঁদের মধ্যে ৫ জনকে যোগদান করানোর নির্দেশ দিয়েছিল দল। আজ ২ জন কাউন্সিলর অতনু গিরি এবং তরুণ বেরা এসেছেন। বাকি ৩ জন অন্য কাজের জন্য আসতে পারেন নি। কাঁথি পুরসভার জয় এখন শুধুমাত্রই সময়ের অপেক্ষা। ‘
১৩ মাস পর তৃণমূলে ফিরে প্রাক্তন কাউন্সিলর অতনু গিরির দাবি, শরীরটা বিজেপিতে গেলেও মনটা তাঁর দিদির কাছেই পড়েছিল। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের ১ জানুয়ারি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে কাজ করার মতন কোনো পরিস্থিতি নেই। হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। ওই দল করলে মানুষের পাশে থাকা যায় না। শরীরটা বিজেপিতে গিয়েছিল ঠিকই, মনটা দিদির কাছেই পড়ে ছিল।’ তৃণমূলে যোগ দেওয়া মাত্রই শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তোপ দেগেছেন অতনু। শুভেন্দু তাঁকে ব্যবহার করেছে বলেই অভিযোগ তাঁর। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আবেগ জড়িত থাকায় দল ছেড়েছিলাম৷ কিন্তু তিনি এতদিন শুধুই ব্যবহার করেছেন আমাকে। শুভেন্দুর প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে আমাদের।’
এই তোপের পালটা দিতেও ছাড়েননি কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারী। অতনু উৎখাত করতে চাইলেও উৎখাতের রাজনীতিতে বিজেপি বিশ্বাসী নয় বলেই দাবি তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘নেতারা গেলেও কর্মীরা আমাদের পাশেই রয়েছেন’। দলবদলু এই ৫ কাউন্সিলরকে কটাক্ষ করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।