বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটে ফিটনেসের গুরুত্ব ততই বেড়ে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল যখন ক্রিকেটাররা খুব বেশি ফিট না হলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাফল্য পেতে পারতেন। কিন্তু ক্রিকেটের যত অভিযোজন ঘটছে, ততই এই ব্যাপারটিতে পরিবর্তন আসছে। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা বা ভারতের মতো দলে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফিটনেসকে অত্যন্ত বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। যদিও কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এমনটা ছিল না।
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব সেই পাঁচ ক্রিকেটেরকে নিয়ে যাদের ওজন এবং ফিটনেস দুটি ক্রিকেটের জন্য আদর্শ ছিল না, কিন্তু তারা ক্রিকেট বিশ্বে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন। তালিকায় যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্রিকেটের ইতিহাসে কিংবদন্তির জায়গাও পেয়ে গিয়েছেন। একে একে সকলের নামগুলি দেখে নেওয়া যাক।
● জেসি রাইডার (নিউজিল্যান্ড): নিউজিল্যান্ডের এই আগ্রাসী ওপেনার মাঠের মধ্যে নিজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে পরিচিত ছিলেন। যদিও তিনি কেরিয়ার এর একটা সময় পৌঁছে মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে নিজের আচরণের কারণে শিরোনামে আসতে শুরু করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের এই ওপেনার ভারতের মাটিতে আইপিএলও খেলে গিয়েছেন সাফল্যের সাথে। কিন্তু নিজের দৈহিক গড়ন এবং ফিটনেসের কারণে চোটে আঘাতে জর্জরিত হতে হতে ধীরে ধীরে নিউজল্যান্ডের জাতীয় দল থেকে হারিয়ে যান।
● মহম্মদ শাহজাদ (আফগানিস্তান): যে সমস্ত ক্রিকেটারদের কারণে আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানচিত্রে নিজেদের উপস্থিতি উজ্জ্বল করতে পেরেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন তিনি। ৯০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের এই ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার। বিরাট কোহলির ফিটনেস এর উদাহরণ দিয়ে তাকে একবার নিজের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, “কোহলির মতো শরীর চর্চা করে আমি কি করবো যদি আমি এমনিতেই ওর চেয়ে বেশি বড় ছক্কা মারতে পারি।”
● ডোয়েইন লেভারোক (বারমুডা): ক্রিকেটপ্রেমীরা এই ক্রিকেটারকে মনে রাখবেন ভারতের বিরুদ্ধে ২০০৭ বিশ্বকাপে রবিন উথাপ্পাকে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরানোর ঘটনার জন্য। নিজের ১২৭ কেজি ওজনের চেহারা নিয়ে স্লীপের শরীর ছুড়ে দিয়ে তিনি উথাপ্পার ক্যাচটি তালুবন্দী করেছিলেন। বারমুডায় বর্তমানে পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কাজ করা এই ক্রিকেটার দেশের হয়ে ৩২ টি ওডিআই খেলে ৩৪ টি উইকেট নিয়েছেন।
● রাহকিম কর্নওয়ালিশ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): ৬ ফুট উচ্চতা এবং ১৪০ কেজি ওজন সম্পন্ন এই ক্রিকেটারকে ক্রিকেটপ্রেমীরা ‘ক্রিকেটের মনুষ্য পর্বত’ নামে ডেকে থাকেন। এই অলরাউন্ডার বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে এখনো অবধি তিনি দুটি অর্ধশতরান এবং দুটি ফাইফার নিয়েছেন।
● ইনজামাম উল হক (পাকিস্তান): পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওজন সম্পন্ন ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল হলেন প্রাক্তন এই পাক অধিনায়ক। নিজের দৈহিক গঠনের কারণে অনেকবার দর্শকদের ব্যাঙ্গের শিকার হয়েছেন এবং নানান অদ্ভুতরকম ভাবে রান আউট হয়েও তাদেরকে হাসির খোরাক জোগাড় করে দিয়েছেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ৮,৮৩০ এবং ওডিআইতে ১১,৭৩৯ রান করা এই কিংবদন্তি ক্রিকেটের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন চিরকাল।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা