মায়ানমারের (Mayanmar) আরাকান সেনাবাহিনীর (Arakan army) হাতে বন্দি হওয়া পাঁচ ভারতীয়র (Indian national) মুক্তির পথ প্রস্তুত করে দিল মোদী সরকার। এই পাঁচ ভারতীয়কে মিয়ানমারের উত্তরে রাখাইন প্রদেশের মধ্য দিয়ে একটি রোড প্রকল্পে কাজ করতে যাওয়ার সময় আরাকান আর্মি নামে একটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন গ্রেপ্তার করেছিল। গ্রেফতার হওয়া এই ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছেন বিজয় কুমার সিংহ, নাঙ্গশানবক, রকেশ শর্মা এবং অজয় কোঠিয়াল। ৩ নভেম্বর রাখাইন প্রদেশ থেকে কুকতাকভ যাওয়ার পথে ভারতীয়কে গ্রেফতার করে রোহিঙ্গারা। এর মধ্যে একজন ভারতীয় মারা যায়।
মৃত ভারতীয়র পরিচয় ৬০ বর্ষীয় ভেনুগোপাল বলে জানা গেছে। সেখানে উনি কনস্ট্রাকশন এডভাইজর হিসেবে কাজ করতেন। এক্ষেত্রে মোদী সরকারের হস্তক্ষেপের পরে, ভেনু গোপালের মৃতদেহ সহ বন্দী ভারতীয় নাগরিকদের ভারতে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তাদেরকে মুক্তির পর, সিতোয়াকে পাঠানো হয়েছে সেখান থেকে তারা মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুন হয়ে ভারতে আসবেন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মিয়ানমারে ভারতীয় দূতাবাস পুরো অভিযানের দিকে নজর রাখছে যাতে ভারতীয়রা যসম্ভাব্য সকল সহায়তা পেতে পারে এবং গোপালের মরদেহও শ্রদ্ধার সাথে ভারতে প্রেরণ করা যায়।
ভারতের হস্তক্ষেপের পর রোহিঙ্গারা একটু নরম ব্যাবহার দেখিয়েছে। রোহিঙ্গারা দাবি করেছে যে, তারা ভারতীয়দের বন্দি করেনি শুধুমাত্র চেকিং করেছিল। কলদান নদীতে সাধারণ চেকিংয়ের কারণে ভারতীয়দের আটকানো হয়েছিল কাউকে বন্দি করা হয়নি।
রোহিঙ্গারা দাবি করেছে, ভারতীয়দের সাথে তাদের কোনো শত্রুতা নেই। তবে ভেনু গোপালের মারা যাওয়ার পেছনে এই রোহিঙ্গাদের হাত আছে বলে দাবি উঠেছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের দাবি উনার আগেই ডায়াবেটিস ছিল, আর সেই কারনে ভেনু গোপলের মৃত্যু ঘটেছে।