করোনার ভ্যাকসিন (corona vaccine) তৈরিতে মারা পড়তে ৫ লাখ পারে হাঙরের (shark) ওপর। সম্প্রতি এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা সূত্রে। হাঙরের যকৃতের তেল ব্যাবহার করে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করতে চেষ্টা করছেন অনেক গবেষকই। আর এই ভ্যাকসিন কার্যকরী হলে মারা পরবে বিশাল সংখ্যক হাঙর।
এই মুহুর্তে অতিমারির দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত বিশ্ববাসীর। করোনার ভ্যাকসিনের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছে সবাই। কিন্তু এরই মধ্যে চিন্তার ভাঁজ পরতে শুরু করেছে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের কপালে৷ অনেকগুলি গবেষণায় ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিনের উপাদান হিসাবে ব্যাবহার করা হচ্ছে স্কোয়ালিন। যা তৈরি হয় হাঙরের যকৃতের তেল থেকে। ব্রিটিশ সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এখন ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে স্কোয়ালিন ব্যবহার করছে।
সংস্থা জানিয়েছে, তারা ১ বিলিয়ন করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে পারে। হিসেব বলছে সারা বিশ্বের সব মানুষকে একবার করে করোনার এই ভ্যাকসিন দিতে হত্যা করতে হতে পারে আড়াই লাখ হাঙর। করোনা ভ্যাকসিন যদি দ্বিতীয় বার দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ৫ লাখে৷ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা এই হাঙর হত্যার বিরোধিতা করেছেন৷ তারা প্রাকৃতিক স্কোয়ালিনের বদলে আখ থেকে তৈরি কৃত্রিম স্কোয়ালিনের ব্যাবহার পরীক্ষা করে দেখার করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অন্য কোনো প্রাণী হত্যা করে কোনো সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। ইতিমধ্যেই হাঙরের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। আরো ৫ লাখ হাঙরের হত্যার আশঙ্কা বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় হাঙরকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে দেবে বলেই মনে করছেন অনেকে।